অদ্য ১৯ ফ্রেব্রুয়ারি শনিবার, বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়ন উন্নয়ন পরিষদে বিশিষ্ট নাগরিকদের স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে গুণী ব্যক্তিদের কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনাসহ গুণীজনদের-কে নিয়ে লেখা ‘শ্রুতি ও স্মৃতি’ বইয়ের মোড়ক উম্মোচন হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ, চট্টগ্রাম এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত সোনার তরী কবিতার চরণ ও পংক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন-পার্থিব জগতে ব্যক্তির কোন ঠাঁই না মিললেও কর্মের ঠাঁই মেলে। প্রতিটি মানুষের আজকের দিনের সৎ কর্মই হবে আগামী দিনের সঞ্চয়। যারা আত্মত্যাগী হয়ে সমাজের মানুষের কল্যানে কাজ করেন তারাই গুণীজন হিসেবে চিরস্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে থাকবেন। আর এই গুনীজনদের কর্মময় জীবন সকলের জন্য অনুকরণীয়। সম্প্রতি গন্ডামারা ইউনিয়নে মৃত্যুবরণকারী শিক্ষাবিদ মাস্টার আব্দুল খালেক চৌধুরী, মুফতি আব্দুস সামাদ সিকদার, মাওলানা ফরিদুল আলম, সমাজসেবক মোক্তার আহমদ মেম্বার, সমাজ সেবক স্বর্গীয় পুলিন বিহারী সুশীল ও শিক্ষক মাস্টার কে,এম ইলিয়াছ এর স্মরণে আয়োজিত সভা ও বইয়ের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি লেখক ও কলামিস্ট নুরুল মুহাম্মদ কাদের এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মাওলানা নুরুল হক সিকদার ও আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট দিদারুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন ফারুক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: ওমর ফারুক, কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন মহিলা কলেজের অধ্যাপক হাসনা হেনা চৌধুরী।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো অব বাংলাদেশ ইন্সপেক্টর ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এর যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক নজরুল ইসলাম, বাঁশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, গন্ডামারা বড়ঘোনা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বাবু অবিনাশ চন্দ্র দেব, বঙ্গবন্ধু পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: ওমর ফারুক, গন্ডামারা বড়ঘোনা উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সংগঠনের উপদেষ্টা হাসান মুরাদ চৌধুরী, ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সংগঠনের উপদেষ্টা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ হোসাইন সিকদার, ইলিয়াছ চৌধূরী, চট্টগ্রাম সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের জি,এস জাহেদুল হক চৌধুরী মার্শাল, সংগঠনের সহসভাপতি এনামুল হক সিকদার মানিক, দক্ষিন চট্টগ্রাম ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাঈম উদ্দিন মাহাফুজ ,মাওলানা নুরুল্লাহ সিকদার, অসিত বিহারী সুশীল ও মোহাম্মদ শাফায়েত হোসেন প্রমুখ।
মুখ্য আলোচক বলেন- একটি সুন্দর, সৃজনশীল ও আলোকিত সমাজ বিনির্মাণ গড়তে যারা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে গেছেন তাদের প্রতি সম্মান আর শ্রদ্ধা দেখানো প্রত্যেকেরই নৈতিক দায়িত্ব। গন্ডমারা ইউনিয়ন উন্নয়ন পরিষদ সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই সময়ের সাহসী মেধাবী সমাজ সংস্কারকদেরকে মরণোত্তর সম্মাননা স্মারক প্রদান ও তাদের নিয়ে লেখা “শ্রুতি ও স্মৃতি” সমৃদ্ধ প্রকাশনাটি নিঃসন্দেহে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি আদর্শিক বার্তা।
সংগঠনের সভাপতি নুরুল মুহাম্মদ কাদের সমাপনী বক্তব্যে বলেন- বর্তমানে মানুষ টাকার পিছনে ছুটছে, অর্থ-সম্পত্তি থাকলেই গুণী ব্যক্তি হওয়া যায় না। জীবদর্শায় ভালো কাজ করলেই মৃত্যুর পরেও মানুষ আজীবন তাঁদেরকে স্মরণ করে তা নতুন প্রজন্মদেরকে এই বার্তা দিতে চাই গন্ডামারা ইউনিয়ন উন্নয়ন পরিষদ চট্টগ্রাম।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ উপস্থিত ছিলেন। মরহুমদের জন্য দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আবুল কাশেম।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।