চট্টগ্রামের বস্তিতে মশারি ও স্যানিটারি ন্যাপকিন দিল স্বস্তি

বছরের শেষ দিনে চট্টগ্রামের চকবাজার এলাকার একটি বস্তিতে মশারি ও স্যানিটারি ন্যাপকিন প্যাড বিতরণ করলো নারীদের স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বস্তি। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) বিকালে নগরীর দেবপাহাড় বস্তিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধী ও নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
কর্মসূচিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলামিস্ট ও গবেষক চট্টগ্রামের সরকারী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষক শামসুদ্দীন শিশির, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সাংবাদিক সামচ্ছুদ্দিন ইলিয়াস। কার্যক্রমের শুরুতে এ দুজন অতিথি ডেঙ্গু সচেতনা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক দিকগুলো তুলে ধরেন বস্তিবাসীর সামনে।

বক্তারা বলেন, বছরজুড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপে অনেক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। হাসপাতালেও জায়গা ছিল না। ডেঙ্গুর থাবা থেকে বাঁচতে মানুষকে সচেতন হতে হবে। মশারি টানাতে হবে। বাড়ি-ঘরে পানি যেন না জমে খেয়াল রাখতে হবে। এখানে বেশিরভাগ মানুষের ডেঙ্গুর চিকিৎসা করার সামর্থ্য নেই। তাই সবসময় সচেতন থাকতে হবে।
এরপর বস্তির ৩০টি পরিবারের প্রতিটি ঘরের প্রতি বিছানার জন্য মশারি বিতরণ করা হয়। ডেঙ্গু সচেতনতা বিষয়ক এই কার্যক্রমে সহযোগিতা করেছে অলাভজনক সংস্থা বাঁচার লড়াই, লাইট টু লাইফ ও বৃত্ত।

এদিকে স্বস্তির মাসিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বস্তির প্রায় ৫০ জন নারীকে এক মাসের প্রয়োজনীয় স্যানিটারি ন্যাপকিন প্যাড বিতরণ করা হয়। নতুন বছরের নতুন প্রত্যয়ে বস্তির কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সঞ্চয়ী মনোভাব সৃষ্টির লক্ষ্যে প্লাস্টিকের ব্যাংক বিতরণ করা হয়। শেষে বস্তির শিশু, কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে কেক কেটে বছরের শেষ দিন উদযাপন করেন অতিথিরা।

স্বস্তির সংগঠক রাফিউ আহমেদের পরিচালনায় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সংগঠক জোবায়ের চৌধুরী, লাইট টু লাইফ এর সংগঠক আনোয়ার হোসাইন, স্বস্তির সংগঠক নাজমুন নাহার, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বৃত্তের সাংগঠনিক সম্পাদক সানজিদা আক্তার, ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার বাংলাদেশের জাতীয় সমন্বয়কারী আরশি হোর, স্বস্তির স্বেচ্ছাসেবী উম্মে রাশেদা তাসিন প্রমুখ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।