চট্টগ্রামে এক উপজেলাতেই ৩ ঘণ্টায় ৩ খুন!

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় ৩ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে এক বিএনপি নেতাসহ তিনজন খুন হয়েছেন। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ২নং বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের লালানগর গ্রামে মামাতো ভাইয়ের হাতে খুন হন নুর মোস্তফা বজল (৫৮)। পশ্চিম লালনগর গ্রামের মুজিবুল হকের ছেলে বজল ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন। তার ছোট ভাই মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি।

একই রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের শীতলপুর এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে মো. আলমগীর (৩৬) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা মো. আলমগীরকে ছুরিকাঘাত করে। এতে গুরুতর আহতাবস্থায় অন্ধকারে পড়ে থাকার বেশ কিছুক্ষণ পর স্থানীয়রা তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ভাটিয়ারী বিএসবিএ হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন দুইটি হত্যাকাণ্ডের কথা নিশ্চিত করে বলেন, ‘জায়গা-জমির বিরোধ নিয়ে মামাতো ভাইয়ের হাতে খুন হন ফুফাতো ভাই। তৌহিদ একজন চিহ্নিত ডাকাত। তার বিরুদ্ধে থানায় বিভিন্ন ধরনের ১৮টি মামলা রয়েছে। তাকে আটকের অভিযান চলছে। অপর দিকে শীতলপুর এলাকায় আলমগীর নামে এক চা দোকানী দুর্বৃত্তের হাতে নিহত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

তবে স্থানীয়দের দাবী, শীতলপুর এলাকায় সচরাচর ছিনতাই হয় না। তাদের ধারণা পূর্ব শত্রুতার জেরে আলমগীরকে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে একই সময়ে সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুরে মো. ইমন (১৭) নামের এক কিশোর খুন হয় প্রতিপক্ষের গাছের আঘাতে। ইমন ছিন্নমূলের সবুজের ছেলে বলে জানা গেছে। সবুজ বিআরটিসির গাড়ির স্টাফ আর ইমনের মা চাকরিজীবী।

চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নূরুল আলম আশেক বলেন, রাত ২টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুরের জাফরাবাদ থেকে ইমনকে চমেকে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ২৮ নং ওয়ার্ডের প্রেরণ করলে ওয়ার্ডের ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ইমনের মামা শাহজাহান বলেন, আমার বোন চাকরি থেকে ঘরে ফেরার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ইমন ২০ টাকা চেয়ে নিয়ে নাস্তা করতে যায়। ৮টার পর সে বাসায় ফেরার পথে তার ঘাড়ে পিছন থেকে গাছ দিয়ে আঘাত করা হয়। আহত হয়ে অনেক্ষণ সে ওই জায়গাতেই পড়ে ছিল। পরে লোকজন দেখে আমার বোনের বাসায় খবর দিলে তারা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।