‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল উদ্ভাবন অন্বেষণে মানুষ ও পৃথিবীর সমন্বয়’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উদযাপিত হয়েছে বিশ্ব বন্যপ্রাণী উৎসব।
সোমবার (১১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রাণিবিদ্যা বিভাগ ও চিটাগাং ইউনিভার্সিটি বার্ড ক্লাবের (সিইউবিসি) যৌথ উদ্যোগে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজিত হয় দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান।
এর আগে, বেলা সাড়ে ১০টায় বৃক্ষরোপন ও র্যালি মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়।
এতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি দেখা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে চবি শিক্ষার্থী (এস এম রিদোয়ান রহমান, রাতুল শারিয়ার প্রীতম ও ইসরাত জাহান), পাখিচেনা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী এস এম রিদোয়ান রহমান ও চবির ইসরাত জাহান।
এছাড়া বন্যপ্রাণী বিষয়ক জিজ্ঞাসা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে জাবির সাঈদ ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ফরহাদ। বন্যপ্রাণী বিষয়ক প্রেজেন্টেশনে প্রথম স্থান অধিকার করে তাজনীন মেহজাবীন ও পাজল প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন সৈয়দা ইসরাত জাহান।
অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে বলেন, মানুষ ও পৃথিবীর প্রয়োজনে বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের কোন বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি আপামর জনসাধারণের অংশগ্রহণে বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও প্রাকৃতিক ইকোসিস্টেম রক্ষা করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৌহিদ হোসেন, ও বিশ্ব পরিব্রাজক অণু তারেক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সুপারনিউমেরারি অধ্যাপক, বন্যপ্রাণী গবেষণায় বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত ড. এম ফরিদ আহসান।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।