চবিতে শিক্ষক নিয়োগের ভাইবা দিতে আসা প্রার্থীকে ছাত্রলীগের মারধর

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের ভাইবা দিতে আসা এক প্রার্থীকে মারধর করেছে শাখা ছাত্রলীগের উপপক্ষ ভিএক্স।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) উপাচার্যের সভাকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার ওই প্রার্থীর নাম নুর হোসাইন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন।

এদিন সকালে ভুক্তভোগী ওই প্রার্থী ভাইবা দিয়ে ভিসির সভাকক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে আটকে মারধর করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি তাকে উদ্ধার করে পুনরায় উপাচার্যের সভাকক্ষে নিয়ে যান। ভুক্তভোগী ওই প্রার্থী বর্তমানে উপাচার্যের সভাকক্ষে অবস্থান করছেন। এছাড়াও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করছেন।

এদিকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি উপগ্রুপ ভিএক্সের নেতা মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, নূর হোসাইন তখনকার সময়ে শিবিরের একজন দুর্ধর্ষ ক্যাডার ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আব্দুর রব হলে তৎকালীন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী মারুফ ইসলামকে মারধর করে যারা অজ্ঞান করে ফেলেছিল তাদের মধ্যে সে অন্যতম ছিল। এছাড়াও সে বর্তমানেও নানা দেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত আছে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির আমলে আমাদের অনেক ভাইয়েরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে পারে নি। এখন আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সে কীভাবে শিক্ষক হওয়ার জন্য ভাইবা দিতে আসে? সেজন্য আমাদের কর্মীরা তাকে খুঁজতে ভিসি অফিসে গিয়েছিল। তাকে পেলে আমরা তাকে প্রাশাসনের হাতে তুলে দিতাম। তবে আমরা তার বিভিন্ন দেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে প্রক্টর অফিসে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, নিয়োগ বোর্ড চলাকালীন কিছু ছেলেরা বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করেছিল। আমাদের হস্তক্ষেপে তা সম্ভব হয়নি। আমরা তাদেরকে ভিসি অফিস থেকে বের করে দিয়ে প্রার্থীকে ভিসি অফিসে রেখেছি।

তিনি আরো বলেন, নিয়োগ বোর্ডে অংশ গ্রহণের অধিকার সবার আছে। এক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে তাদের বলেছি প্রার্থীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে লিখিত আকারে দেয়ার জন্য।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।