চবির বাংলা বিভাগের ‘হিম উৎসব’

‘আজি নব রবিকিরণে কেটে যাক কুয়াশার ঘোর’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে হিম উৎসব’ ১৪৩০ ও পিঠা উৎসব আয়োজিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বর্ণাঢ্য র‍্যালির মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই আয়োজন।

র‍্যালিতে বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. তাসলিমা বেগম, বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহীবুল আজীজ, অধ্যাপক শফিউল আযম ডালিম, অধ্যাপক ড. আনোয়ার সাঈদ, সহযোগী অধ্যাপক ড. নেয়ামত উল্ল্যাহ, সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ সাদী, সহযোগী অধ্যাপক ড. শারমিন মুস্তারি ও সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী উপস্থিত ছিলেন।

র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহিদ মিনার, বিবিএ ফ্যাকাল্টি ও সোশ্যাল সাইন্স ফ্যাকাল্টি, করে পুনরায় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে এসে শেষ হয়। র‍্যালিতে গ্রাম বাংলার চিরায়ত অসাম্প্রদায়িক রূপ ফুটিয়ে তোলার উদ্দেশ্যে গ্রাম বাংলার বিভিন্ন শ্রেণী, ধর্ম ও পেশাজীবিদের সাজে সেজেছিলেন শিক্ষার্থীরা।

র‍্যালি শেষে বাংলা বিভাগ চত্বরে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠা প্রদর্শন করেন। যার মধ্যে ক্ষির পাটিসাপটা, ছাঁচ পিঠা, নকশি পিঠা, নারকেল পুরি, নারিকেল পাকন, মিষ্টির মাখন, জামাই পিঠা, মুখ রঙিন, দুধচিতই, মাংসের ঝাল পিঠা, আফলাতুল, চিকেন রোল, ঝিনুক, পাটিসাপটা, খেজুর পিঠা, তেলের পিঠা, ভাপা পিঠা, ডিবি পিঠা, ডিম পিঠা, ভাজা পুলি, তালের বড়া, পাকন পিঠা, চিকেন পুলি ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের পিঠা উল্লেখযোগ্য।

এর পর বিকাল ৩টায় বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক পর্বের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. তাসলিমা বেগম৷ এতে বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মোহাম্মদ বোরহানের সঞ্চালনায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা নাচ, গান, নাটক, আবৃত্তি, দেশিয় ঢং প্রদর্শনীসহ নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পরিবেশন করেন।

এদিকে দীর্ঘদিন পর এমন আয়োজনের সাক্ষী হতে পেরে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। মাস্টার্সের ছাত্রী মনীষা হক অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যোগে আয়োজিত হিম উৎসবে বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠে । বর্নাঢ্য র‍্যালি, পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মুখরিত ছিল বাংলা বিভাগ চত্বর। পুরো অনুষ্ঠানটিই আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি।

চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রিফাত মাহমুদ বলেন, শীতের প্রকোপে চারিদিকে যখন রিক্তকার ছাপ স্পষ্ট তখন এধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমাদের মনে প্রাণসঞ্চার করে। এছাড়া আমাদের বাংলা বিভাগে কোনো এলামোনাই নেই। তাই এই অনুষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ডিপার্টমেন্টে সাবেক-বর্তমানদের একটা মিলন-মেলাও হয়ে যায়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।