চবি উপাচার্যের কার্যালয় ভাঙচুর, শাটল অবরোধ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) উপাচার্যের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শিক্ষক প্রার্থী ছাত্রলীগ নেতাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেয়ায় উপগ্রুপ একাকারের নেতাকর্মীরা ভাঙচুর চালিয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও এ নিয়ে তারা শাটল ট্রেনও আটক দেন।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, এদিন উপাচার্যের সভাকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিভিন্ন বিভাগের বেশ কয়েকজনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এর মধ্যে মেরিন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক প্রার্থী ছিলেন ওশানোগ্রাফি বিভাগের ২০১৩-১৪ সেসনের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাইয়ান আহমেদ। তাকে নিয়োগ না দিয়ে অন্য কাউকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে শাখা ছাত্রলীগের একাকার গ্রুপের নেতাকর্মীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান। এসময় তারা বেশ কিছু কাপ পিরিচ ও কার্যালয়ের বাইরের ফুলের টব ভাঙচুর করেন।
এছাড়াও তারা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে শহরমুখী সাড়ে পাঁচটার ট্রেনও আটকে দেন।

এ বিষয়ে চবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও একাকার গ্রুপের নেতা মইনুল ইসলাম রাসেল বলেন, আজকে সিন্ডিকেটে জামাত শিবিরের রাজনীতি ও সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িতদেরকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাকিদের চাইতে বেশি যোগ্যতা থাকা সত্বেও ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের রিসেন্ট কমিটির সদস্য রাইয়ান আহমেদকে নিয়োগ দেয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রথম দাবি রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড ও জামাত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িতদের শিক্ষক থেকে বাদ দিতে হবে। আর দ্বিতীয় দাবি হল ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী রাইয়ান আহমেদকে মেরিন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ছাত্রলীগলর্মীরা শাটল ট্রেন আটকে রেখেছেন।

কার্যালয়ে ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিণ আখতার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, যারা এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শাটল ট্রেন অবরোধের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। তাদের সাথে আমরা কথা বলার চেষ্টা করতেছি।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।