চাঁদাবাজির দায়ে বরখাস্ত হওয়া ৬ পুলিশ সদস্য বেকসুর খালাস

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় দুই বছর আগে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ঠিকাদার আব্দুল মান্নানের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া ছয় পুলিশ সদস্যকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিনের আদালত এ রায় দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। দিনি বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মাননীয় আদালত ছয় পুলিশ সদস্যকে খালাস দিয়েছেন।

খালাস প্রাপ্তরা ছয় কনস্টেবল হলেন, মোরশেদ বিল্লাহ, মো. মাসুদ, শাকিল খান, এস্কান্দর হোসেন, মনিরুল ইসলাম ও আবদুল নবী। এদের মধ্যে কনস্টেবল মোরশেদ বিল্লাহ তৎকালীন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরের দেহরক্ষী ছিলেন এবং কনস্টেবল মো. মাসুদ তৎকালীন গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগের উপকমিশনার মনজুর মোরশেদের দেহরক্ষী ছিলেন।
অভিযোগ ওঠার পরপরই চাকরি থেকে তাদের সাময়িক বহিস্কার করে চাঁদাবাজিতে তাদের সম্পৃক্ত পাওয়া বিষয়টি জানিয়েছিল সিএমপি।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ মধ্যরাতে ডিবি লেখা জ্যাকেট পরে আনোয়ারা উপজেলার পূর্ব বৈরাগ গ্রাম থেকে আবদুল মান্নান নামে এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে আবদুল মান্নানকে পটিয়ার ভেল্লাপাড়া এলাকায় নিয়ে আটকে রাখে। এ সময় আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে থানায় অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে জানিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরবর্তীতে তাদের ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হলে তারা তাকে ছেড়ে দেয়। পরে পুলিশ সদস্য পরিচয়ে অপহরণ এবং মুক্তিপণের অভিযোগে ৭ ফেব্রুয়ারি আনোয়ারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন আবদুল মান্নান।

মামলার সূত্র ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৬ পুলিশ কনস্টেবলের সম্পৃক্ততা পায়। এ ঘটনায় তাদের গ্রেফতার করে একই দিন কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। পরে ৬ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলা করা হয়। ২০২১ সালের ৪ ডিসেম্বর ওই ৬ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছিল পিবিআই। মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত অভিযুক্ত ছয়জন আসামিকেই খালাস দিয়েছেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।