চাকরির ফাঁদ পেতে মেয়েদের বাধ্য করতো পতিতাবৃত্তিতে, গোয়েন্দা জালে ৭

চাকরির ফাঁদ পেতে কৌশলে নিয়ে আসা হতো মেয়েদের। তারপর জোরপূর্বক আটকে রেখে বাধ্য করা হতো পতিতাবৃত্তিতে। বিভিন্ন দালাল চক্রের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হতো খদ্দের। নিয়মিত টহলের মাধ্যমে দেওয়া হতো পাহারা। কোন মেয়ে পতিতাবৃত্তির কাজে অনীহা প্রকাশ করলে তাদের ওপর চালানো হতো অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। অবশেষে চক্রটির ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর)পুলিশ।

গত রোববার (২১ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন বন গবেষণা ইনন্সিটিটিউট সংলগ্ন সামার হিল আবাসিক এলাকায় নাঈম সাহেব নামে এক ব্যক্তির দুইতলা ভবন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের ‘বন্দিশালায়’ থাকা ১০ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— কুমিল্লার লাকসাম থানার আব্দুল জলিল(৪৫),বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার মো. লিটন(৪০), ঢাকার খিলগাঁও থানার মো. কামাল হোসেন(৩৫), চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার আবদুল খালেক (৩৬), কুমিল্লার বি-পাড়া থানার মো. সেলিম(৩৭) চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানার মো. হারুন (৩৩) এবং পটুয়াখালীর বাউফল থানার সাইফুল ইসলাম(৩৭)। বর্তমানে তারা সবাই নগরীর বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর) উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আলী হোসেন চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, সিএমপি ডিবির অভিযানে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তির কাজে বাধ্য করার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ১০ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। যারা নিজের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে চাকরির কথা বলে মেয়েদের নিয়ে আসতো। পরে পতিতাবৃত্তির দিকে ঠেলে দিতো।গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।