টেকনাফে হামলার ঘটনায় চবি শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ

টেকনাফে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। এছাড়াও অপরাধীদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবিও জানায় সংগঠনটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৪ মার্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ ‘শিক্ষা সফর’ সম্পন্ন করে সেন্টমার্টিন থেকে জাহাজে করে টেকনাফে ফেরার পথে জাহাজের স্টাফদের দ্বারা ন্যাক্কারজনক ও বর্বরোচিত হামলার শিকার হন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকসহ অনেক শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে আহত হন। জাতির সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক-শিক্ষার্থী হয়ে জাহাজের স্টাফদের হাতে এভাবে অপমানিত ও লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত লজ্জার ও বেদনার। দেশের এই মেধাবী সন্তানগণ তাঁদের বুদ্ধিবৃত্তি ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে জাতিগঠনে, জাতির বহুমাত্রিক নেতৃত্বে চালিকা শক্তিরূপে ভূমিকা পালন করে থাকেন। একটি দেশ ও সমাজের সম্মুখসারির নাগরিকদের সঙ্গে এমন অনভিপ্রেত আচরণ আমাদের আত্মমর্যাদার জায়গাটিতে তীব্রভাবে আঘাত করেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কার্যনির্বাহী পরিষদ এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত এবং গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এমন ভারসাম্যহীন অযাচিত আচরণ লজ্জার, অবমাননাকর এবং এক ধরনের মনোবৈকল্যের লক্ষণ। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং অপরাধীদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জোর দাবি করছি – যেন ভবিষ্যতে এমন অমর্যাদাকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে সেন্টমার্টিন জেটিঘাট ও টেকনাফ জেটিঘাটে পরপর দুই দফা জাহাজ স্টাফ ও স্থানীয় লোকদের হাতে হামলার শিকার হন চবির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার পর টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।