টেস্ট মেজাজে টি-টোয়েন্টি খেলে চট্টগ্রামের শোচনীয় হার

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের প্রথম ম্যাচে টেস্ট মেজাজে টি-টোয়েন্টি খেলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের কাছে শোচনীয়ভাবে হেরেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এই নিয়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তুমুল সমালোচনা।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে একশ রানও করতে পারেনি চ্যালেঞ্জার্সরা। সিলেটের হয়ে ব্যাট করতে নেমে আলো ছড়ান নাজমুল হাসান শান্ত। তার দারুণ ইনিংসে ৮ উইকেটের জয় পায় স্ট্রাইকার্সেরা।

দলীয় ১১ রানে ওপেনার মেহেদী মারুফের (১১) রানআউটের মাধ্যমে বিপর্যয়ের শুরু হয় চট্টগ্রামের। এরপর দারউইস রাসুলিকে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান সিলেটের পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির।চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোমকে (১) সাজঘরে পাঠান রেজাউর রহমান রাজা। বোলিংয়ে এসে স্পিনার কলিন অ্যাকারমান বিদায় করেন তিনে নামা আল-আমিনকে (১৮)। ২০ বল মোকাবেলা করা এই ব্যাটারকে স্ট্যাম্পিং করেন মুশফিক। এরপর রাজার দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন উসমান খান (২) ও উন্মুক্ত চাঁদ (৫)। ৬২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা চট্টগ্রাম কার্যত আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।

মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে বিদায় করে উইকেটের দেখা পান অভিজ্ঞ পেসার মাশরাফি। এরপর উইকেটে থিতু হয়ে বসা আফিফ হোসেনকে (২৫) উইকেটরক্ষক মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে বিদায় করে নিজের দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পান পাকিস্তানি পেসার আমির। আর নিজের শেষ ওভারে নাহিদুজ্জামানকে (৮) ফিরিয়ে ম্যাচে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন রাজা।

বল হাতে ৪ ওভারে ১৪ রান খরচে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন রেজাউর রহমান রাজা। আর সমান ওভারে এক মেডেনসহ মাত্র ৭ রান খরচে ২ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন আমির। এছাড়া মাশরাফি ও অ্যাকারমান নিয়েছেন ১ টি করে উইকেট।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কলিন অ্যাকরম্যানকে (১) বিদায় করেন মৃত্যুঞ্জয়। এরপর জাকির হোসেনকে নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছাতে শুরু করেন নাজমুল হাসান শান্ত। বাংলাদেশের দুই টেস্ট ওপেনার গড়েন ৪৫ বলে ৬৩ রানে জুটি। জয় সহজ করে দিয়ে ২১ বলে ২৭ রান করা জাকির শিকার হন পুষ্পাকুমারার। মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে বাকিটা শেষ করেন শান্ত। ৪১ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। মুশফিক করেন অপরাজিত ৬ রান।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।