মঙ্গোলিয়া ইউনিভার্সিটি ও ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের সঙ্গে ডব্লিউইউএসটির দুটি সমঝোতা স্মারক সই

ভবিষ্যতের দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের মঙ্গোলিয়া গ্লোবাল লিডারশিপ ইউনিভার্সিটি (জিএলইউ) এবং উলানবাটোর সিটির সুখবাতার ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের সঙ্গে দুটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ডব্লিউইউএসটি)।

গত বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) ডব্লিউইউএসটির উপাচার্য়ের কক্ষে এই সমঝোতা স্মারক সই করা হয়।

জানা গেছে, মি. বারখু ও মি. বুখচুলুনের নেতৃত্বে মঙ্গলবার সকালে মঙ্গোলিয়া গ্লোবাল লিডারশিপ ইউনিভার্সিটির ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ডব্লিউইউএসটি ক্যাম্পাসে পৌঁছান। এসময় তাদের স্বাগত ডব্লিউইউএসটির প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবার্ক।

পরে ডব্লিউইউএসটির চ্যান্সেলর ও সিইও আবুবকর হানিপ এবং জিএলইউ’র প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রেসিডেন্ট মি. ওতগনবাত বারখু এক সমঝোতা স্মারকে সই করেন। অপর সমঝোতায় স্বাক্ষর করেন আবুবকর হানিপ ও সুখবাতার ডিস্ট্রিক্টের চেয়ারম্যান এনখোবোল্ড বুখচুলুন।

ডব্লিউইউএসটি চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ বলেন, সহযোগিতার সম্পর্কে একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। ডব্লিউএসটি ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ প্রস্তুত করে কর্মজগতে পাঠাচ্ছে। এসময় তিনি এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে পক্ষগুলোর সাথে সহযোগীতার সম্পর্ক তৈরি হবে বলে জানান।

ডব্লিউইউএসটির প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারবার্ক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার বিশেষ দিকগুলো তুলে ধরে বলেন, যে কোনো শিক্ষার্থীর জন্য এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যাশিত।

জিএলইউর প্রেসিডেন্ট মি. ওতগনবাত বারখু ও সুখবাতার ডিস্ট্রিক্ট চেয়ারম্যান এনখোবোল্ড বুখচুলুন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। সেইসাথে তাদের মঙ্গোলিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানান।

ডব্লিউএসটির সিএফও ফারহানা হানিপ সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ভবিষ্যতের সহযোগিতার সম্পর্ক দৃঢ় করতে এই সমঝোতা স্বাক্ষর বড় ভূমিকা রাখবে।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘আই গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি’। পরে বিশ্ববিদ্যালয়টি ১০০ কোটি টাকায় কিনে নেন বাংলাদেশি প্রকৌশলী আবুবকর হানিপ। পরে এর নামকরণ করা হয় ‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ডব্লিউইউএসটি)’নামে। ২০২১ সালে যখন এর যাত্রা শুরু হয় তখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩০০। দুই বছরের কম সময়ে সেই সংখ্যা ছাড়িয়েছে হাজার। দেশের বাইরে এটি বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।