তারিন হত্যার বিচারের দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

ফটিকছড়িতে গৃহবধূ ফাহমিদা আকতার তারিন (২৩) হত্যার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শনিবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলার নাজিরহাট ঝংকার মোড়ে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে এলাকাবাসী ও সর্বস্তরের জনতার ব্যানারে এ মানববন্ধন পালন করে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা বোরহান আহমেদ, নাজিরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন শহীদ জাফর আলম, নাজিরহাট পৌর প্যানেল মেয়র মো. আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন, লোকমান হাকিম, মফিজ তালুকদার, সৈয়দ আহমেদ, নিহতের বাবা মো. জাহাঙ্গীর, মো. রোমান, মো. আলমগীর, নিহতের মামা লোকমান রাসেল, নোমান রাসেল, নিহতের বড় ভাই শাহেদ আলম তানভীরসহ আরো অনেকেই।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, ফাহমিদা আকতার তারিন যৌতুকের নির্মম শিকার। তাঁকে শাশুর বাড়ীর লোকজন হত্যা করেছে। ঘাতকরা পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পরিকল্পিত হত্যাকে আত্নহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাইছে।

তাদের দাবী, বসত ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তার মরদেহ ঝুঁলিয়ে রেখে তারা বাবার বাড়ীত খবর দেয়। পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় তারিনের মরদেহ সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচানো অবস্থায় ঝুঁলছে তবে তার দুই পা ছিলো খাটে লাগানো। এটা আত্মহত্যা হতে পারে না, পরিকল্পিত হত্যা।

তারিনকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করতো উল্লেখ করে তারা বলেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। বক্তারা অনতিবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন। মানবনন্ধনে এলাকাবাসী ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর, নাজিররহাট বাজার ব্যবসায়ীবৃন্দ অংশ নেয়।

উল্লেখ্য, নাজিরহাট পৌর এলাকার খাছ মোহাম্মদ তালুকদার বাড়ীর নাজিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে ফাহামিদা আকতার তারিনের সাথে হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউপির মুহুরী বাড়ী এলাকার পেশকার শফির ছেলে আরকাদুল ইসলাম রুবেলের সাথে গত ২০১৯ সালে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।
বিয়ের পরে থেকে তারিনের স্বামী ও শাশুর বাড়ীর লোকজন তাকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে বলে দাবী তারিনের পরিবারের। গত বুধবার সকাল ১০ টা নাগাদ শাশুর বাড়ীর তার বসত ঘরে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।