ত্যাগী-দুঃসময়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে পটিয়া আওয়ামী লীগকে সাজানো হবে—সাংসদ মোতাহেরুল

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, পটিয়ার প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গুলোকে ত্যাগী দুঃসময়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢেলে সাজানো হবে। যারা দলের পদ পদবীতে থেকে নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্হা নেয়া হবে।
 
শনিবার (২০ জানুয়ারি) পটিয়ার একটি কমিউনিটি সেন্টারে নির্বাচন পরবর্তী অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পটিয়ার হারানো ঐতিহ্য ও ইতিহাস ফিরিয়ে আনতে সবাইকে নিয়ে কাজ করা হবে। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটিয়ায় যে বিজয় হয়েছে তা পরিবর্তনের বিজয়। নির্বাচনের পুর্বে আমি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা পু্রন করার চেষ্টা করবো। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে যারা পটিয়াতে নৌকার পক্ষে কাজ করছেন এতদিন তারা কোণঠাসা ছিলেন। এখন আর কোনঠাসা হতে হবে না। তাছাড়া যে সমস্ত এলাকায় ইচ্ছাকৃত আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে এ ধরনের কাজ আর করার সুযোগ থাকবে না এবং ত্যাগী ও প্রকৃত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে।

পটিয়ায় দলের ত্যাগী দুঃসময়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনকে সাজানো হবে। আমি পরিবারতন্ত্র ও কোন বিশেষ বাহিনী দিয়ে ঐতিহ্যের পটিয়াকে কলংকিত করতে চাই না। বিগত সময়ে যারা কাজটি করেছে তারা আজ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। তৃণমূলের সবাইকে নিয়ে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে দলের দায়িত্বশীলদের ভূমিকা রাখতে হবে। মান-অভিমান নয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনিদের্শনায় সংগঠন পরিচালিত হবে। ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতি নয়, জাতির জনকের রাজনৈতিক আদর্শের সৌন্দর্য তুলে ধরে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে হবে।

মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি আরো বলেন, একসময় বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল। এখন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষি জমি কমে গেছে কিন্তু তারপরও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা দেশকে দারিদ্রমুক্ত করবো সেই লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। 

পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ এবং যুগ্ম সম্পাদক ঋষি বিশ্বাসের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি চেমন আরা তৈয়ব,দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ নাছির, সহ সভাপতি আইয়ুব আলী, যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশ,কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম,দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ম ম টিপু সুলতান চৌধুরী,যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক,সদস্য রাশেদ মনোয়ার, সদস্য মোজাহেরুল আলম চৌধুরী, সাবেক সদস্য সেলিম নবী, সদস্য নাছির উদ্দীন,পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল, জেলা আ: লীগের উপদেষ্টা সামশুদ্দিন আহমদ,একেএম আবদুল মতিন চৌধুরী,চৌধুরী মাহবুবুর রহমান, কাজী আবু তৈয়ব, আ: লীগের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সত্যজিত দাশ রুপু, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম, চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, চেয়ারম্যান মো. সেলিম, চেয়ারম্যান এহসানুল হক, চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, চেয়ারম্যান শাহিনুল ইসলাম শানু,  চেয়ারম্যান মো. বখতিয়ার,চেয়ারম্যান ইনজামুল হক জসিম,চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম খান টিপু, চেয়ারম্যান বিএম জসিম, মাহবুবুল হক চৌধুরী, মোহাম্মদ ছৈয়দ চেয়ারম্যান, প্রজ্ঞাজ্যোতি বড়ুয়া লিটন, সবুজ বড়ুয়া, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন, দপ্তর সম্পাদক রাজু দাশ হিরো, যুবলীগ নেতা আবদুল হান্নান লিটন,
আলমগীর আলম, এম এন এ নাছির, ডিএম জমির উদ্দিন, কাউন্সিলর গোফরান রানা, সরওয়ার কামাল রাজিব, জসিম উদ্দিন, শফিউল আলম, শেখ সাইফুল ইসলাম, মহিলা কাউন্সিলর ইয়াসমিন আকতার চৌধুরী, বুলবুল আকতার, ফেরদৌস বেগম, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মর্তুজা কামাল মুন্সি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এম এ রহিম, কৃষি ও সমবায় উপ-কমিটির সদস্য আ ন ম সেলিম,পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দিকী, সাবেক চেয়ারম্যান গাজী ইদ্রিস, সাবেক চেয়ারম্যান আহমদ নুর, জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি নুরুল হাকিম, আ’লীগ নেতা আলমগীর আলম, এমএনএ নাছির, উজ্জল বড়ুয়া, ইউনুছ তালুকদার, এড. এম হোসাইন রানা, আজিমুল হক, গোলাফুর রহমান চৌধুরী মনজু, হাসেম উদ্দিন চৌধুরী, বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, মিহির চক্রবতী, জাহাঙ্গীর আলম, আলমগীর চৌধুরী, আবুল কালাম, সাইফুল ইসলাম, হারুন, ওসমান গনি, মাহফুজুল হক হাফেজ, সামশুল ইসলাম, জয় প্রকাশ ধর, জসিম উদ্দিন, ছিদ্দিক আহমদ, সৌমেন চক্রবর্তী, যুবলীগ নেতা বুলবুল হোসেন, মো. ফোরকান প্রমুখ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।