দেশে শান্তি চাইলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই—নওফেল

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, চট্টগ্রাম-৯ আসনের সাংসদ ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রাজনৈতিক দর্শন হলো—ধর্ম যার যার, আমরা যার যার অবস্থান থেকে নিজ নিজ ধর্ম পালন করবো আর সকল উৎসব আমরা সবাই উদযাপন করবো। বাঙালির চিরায়িত যে সংস্কৃতি সেইটার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব, ঈদুল ফিতর। এই সকল উৎসব আমরা সকলে এক সাথে উদযাপন করবো।

শিক্ষা উপমন্ত্রী (মঙ্গলবার ৪ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গোৎসবের মহানবমীতে তার নির্বাচনী আসনের অন্তর্গত পূজা মণ্ডপসমূহ পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, বিগত বছরে বেশ কিছু আক্রমণ ও নৃশংসতা হয়েছে। বাংলাদেশ মানুষ শান্তি প্রিয় মানুষ। কিন্তু উস্কানি দিয়ে চেষ্টা করা হয়েছে সাধারণ মানুষকে দাঙ্গাবাজ করে তুলতে। ধর্ম নিয়ে বাংলাদেশ যতদিন রাজনীতি করবে ততদিন এই ঝুঁকিটা থাকবে। দ্বীন ইসলাম ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা কখনোই সমর্থন করেনা। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা রাষ্ট্রীয়ভাবে সেইটা কখনোই সমর্থন যোগ্য নয়।

শিক্ষা উপমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের মধ্যে অনেকের মতপার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু সব কিছুর পরেও আমরা সকলে একটা জিনিস চাই সেটা হচ্ছে আমরা বাংলাদেশে শান্তি চাই। আর সেই শান্তি জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র কোন বিকল্প নাই। তিনি মাতৃ রুপে বাংলাদেশের সকল মানুষকে স্নেহের আঁচলে ভালোবাসা দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। যিনি দেশের সকল মানুষকে মাতৃ রূপে আগলে রেখেছেন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আপনার কাছে তাঁর এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করার অনুরোধ রইলো। যাতে করে তিনি সুস্থ থাকেন এবং বাংলাদেশ কে আরো উন্নত করতে পারেন।

পুজা মণ্ডপ পরিদর্শন কালে মন্ত্রীর সাথে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, নগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, কার্যকরী সদস্য কাউন্সিলর মোঃ জাবেদ, চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল, সাবেক সভাপতি চন্দন তালুকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন দেব নাথ, সহ-সভাপতি অর্পণ ব্যানার্জি, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু, রুমকি সেনগুপ্ত, পূজা উদযাপন পরিষদের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক রাহুল দাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।