চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শাসসুল আলম মাস্টারের স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে (৫৪) তারই সন্তান মাইনুল নিজের অবৈধ পিস্তল দিয়ে হত্যা করেছে। আর সেটি ছিল ঠাণ্ডা মাথার খুন, দাবী র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন-র্যাবের।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে র্যাবের চান্দগাঁও কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটিই জানান সংস্থাটির চট্টগ্রাম অধিনায়ক লে. কর্নেল এমএ ইউসুফ।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর মেয়র পুত্র মাইনুল প্রথমে চন্দনাইশের দোহাজারী আত্মগোপন করে। সেখান থেকে টিকিট না কেটে সেন্টমার্টিন্স পরিবহনের সুপারভাইজারকে ম্যানেজ করে এসি বাস যোগে ঢাকা পালানোর চেষ্টা করে। মাইনুলকে পরিবহনকারী বাস নতুন ব্রীজ এলে র্যাব গতি রোধ করে তল্লাশী চালায়। এসময় বাসে কম্বল মুড়িয়ে ঘুমানো অবস্থায় ছিল মায়ের খুনি মাইনুল।
র্যাব অধিনায়ক আরও বলেন, এটি ঠান্ডা মাথার খুন। খুনের পর তার গতিবিধিতে তা প্রমাণিত। নিজ হাতে মাকে হত্যা করার পর সে পালানোর চেষ্টায় কোনো ত্রুটি করেনি।
গুলি করার অস্ত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অস্ত্রটি মাইনুলের দাবী তার পিতার। কিন্তু এটির সপক্ষে কোনো প্রমাণ সে দিতে পারেনি। বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলমের লাইসেন্স ছিল একটি শটগানের। সেটি পুলিশ জব্দ করেছে।
জানতে চাইলে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, আমরা শামসুল আলম মাস্টারের নামে লাইসেন্স করা শটগানটি জব্দ করেছি। মাইনুলের ব্যবহৃত অস্ত্রটি অবৈধ। সেটির লাইসেন্স ছিল না।
র্যাব কার্যালয়ে আগত মাইনুলের বোন শায়লা শারমিন নিপা চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, মায়ের খুনের প্রত্যক্ষদর্শী আমি। এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। আমাদের যথেষ্ট সম্পদ আছে। অস্ট্রেলিয়াতেই আমরা প্রতিষ্ঠিত। দেশের সম্পত্তির দিকে আমাদের কোনো লোভ নেই।
মঙ্গলবার দুপুরে মাইনুলের গুলিতে তার মা জেসমিন আক্তার নিহত হওয়ার ঘটনায় সেদিন রাতেই মাইনুলের বোন শায়লা শারমিন নিপা বাদী হয়ে পটিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।