নুরজাহান গ্রুপের রতন ও টিপুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নুরজাহান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর জহির আহমেদ রতন ও তার ভাই টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে প্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত। সাউথ ইস্ট ব্যাংকের ২৬৮ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পরিশোধ না করায় তাদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিচারক মুজাহিদুর রহমানের আদালত এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বলে চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, নুরজাহান গ্রুপ সাইথইস্ট ব্যাংকের জুবিলী রোড শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করেছিল। ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অর্থ ঋণ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ২৬১/২০১৯ (জারি মামলা নম্বর ২৫১/২০২১)।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ২১১ কোটি ৭ লাখ ২৯ হাজার ৯৯১ টাকা ২৮ পয়সার দাবীতে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা চলাকালে ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ দুই কোটি ৯৪ লাখ এবং ৩০ জুন ২০২০ এক কোটি ৪৭ লাখ টাকা পরিশোধ করে নুরজাহান গ্রুপ।

৩০ নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত মূল ঋণ ২০৬ কোটি ৬৬ লাখ ২৯ হাজার ৯৯১ টাকা ২৮ পয়সার সাথে যুক্ত ৬১ কোটি ২৪ লাখ ৯৯ হাজার ৮৭০ টাকা ৭৬ পয়সা। এর সাথে মামলা খরচ ৬০ হাজার ৫৯০ টাকা যুক্ত হয়ে মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭৬ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার ৪৫২ টাকা ৪ পয়সা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নুরজাহান গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ম্যারিন ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেডের নামে তারা ঋণ গ্রহণ করেন। জহির আহমেদ রতন ওই কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং তার ভাই টিপু সুলতান চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন।

সাউথ ইস্ট ব্যাংক ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নুরজাহান গ্রুপ এবং তার অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের নামে অন্তত চার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন তারা। রতন ও টিপুর সাথে তাদের আরেক ভাই ফরহাদ মনোয়ারের নামেও রয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। আর মামলা রয়েছে অন্তত দেড় ডজন।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের বাসিন্দা এই তিন ভাই-ই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় স্থায়ী ঠিকানা করে নিয়েছেন আগেই। ঋণের বিপরীতে ব্যাংকে রাখা বন্ধকি সম্পত্তির মূল্যও এতো কম যে, তা দিয়ে ব্যাংকের খেলাপি ঋণের এক-দশমাংশও আদায় করা সম্ভব নয়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।