নোয়াখালীতে শিক্ষার্থী হত্যার বিচার দাবি চবি শিক্ষার্থীদের

নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী তাসনিয়া হোসেন অদিতাকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অধ্যয়নরত নোয়াখালীর শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী আনসারুল হক মাহমুদ বলেন, এটা কোনও সাধারণ ঘটনা নয়। শিক্ষকদের বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। অথচ অষ্টম শ্রেণীতে পড়া একজন শিক্ষার্থী যখন তার শিক্ষকের হাতেই এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার শিকার হন, তখন আমাদের মা-বোনদের নিরাপত্তা আমরা কার কাছে আশা করবো? আমরা তার ফাঁসি চাই।

লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আজহার বলেন, আমরা দেখেছি প্রশাসন ইতোমধ্যে এ ঘটনায় তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়েছে। আদালতে আসামি পুরো ঘটনার স্বীকারোক্তি দিয়েছে। আশাকরি বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও আইনী প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা থেকে বেরিয়ে এসে একটি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখবো আমরা। পাশাপাশি আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানাই, যারা এ ঘটনায় আসামির পক্ষ হয়ে না লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের রাকিব হোসেন বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর সদরে ঘটে যাওয়া এ নৃশংস ঘটনার সাক্ষী আমরা সবাই। ইতোমধ্যে প্রশাসন একজনকে সনাক্ত করেছে। সে আদালতে জবানবন্দিতে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। আমরা চাই তাকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হোক। পাশাপাশি এ ঘটনার সঙ্গে আর কোনও চক্র জড়িত আছে কি-না সেটাও খতিয়ে দেখা হোক।

মানবন্ধনে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম রায়হানের সঞ্চালনায় যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মো. সুজন, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের পাপ্পু আনজার হোসেন, কাজী মেহেদী হাসান, আইন বিভাগের ইসলামুল সজীব, ইতিহাস বিভাগের ইমরান বিন হামিদ, সোহেল উদ্দিন এবং ফাহমিদা আক্তার। ২০১৮-১৯ সেশনের মো. তামজিদুল ইসলাম, এমরান আশিক ও মোছাম্মদ মাজেদা। ২০১৯-২০ সেশনের কামরুল ইসলাম এবং ওমর হাসনাত তন্ময়সহ আরো অনেক শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।