প্রধানমন্ত্রীর দোয়া নিলেন মোতালেব, পাল্টে যাচ্ছে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার হিসেব-নিকেশ

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ মোতালেব সিআইপি। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে গণভবনে সাক্ষাৎ করে তিনি ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করার বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর দোয়া চেয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে এমএ মোতালেব বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যাকে বলেছি—‘আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে আপনার কাছে এসেছি। আপনি ঘোষণা না দিলে আমার পক্ষে নির্বাচন করা সম্ভব হতো না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন উন্মুক্ত করে দেওয়ায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। ভোটাররা এখন যোগ্য প্রার্থী বেছে নিতে পারবেন। আমি নির্বাচন করছি, দোয়া করবেন। আমার দলের নেতাকর্মীরা আমার সঙ্গে আছেন বলে আমি নেত্রীকে জানিয়েছি।’

সাতকানিয়ার পৌর মেয়র ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে চান। সেই নির্বাচনকে উৎসবমূখর করতে তাঁরই সম্মতি নিয়ে আমাদের উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এমএ মোতালেব নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। উনার সঙ্গে আমরা যারা আছি সবাই আওয়ামী লীগের পদদারী নেতা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যে বিজয়ী হয়ে আসবে সেই আমার লোক। আমরা আশাকরি সাতকানিয়া লোহগাড়ার মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে এমএ মোতালেব ভাইকে নির্বাচিত করবেন। আমরা একটি সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়ে বিশ্বকে দেখাতে পারবো যে শেখের বেটির অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। মানুষ তাদের নেতা নির্বাচন করেছে।

সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মোতালেব এ আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে মনোনয়ন পেয়েছেন একই আসনের গত দুইবারের এমপি ড. আবুরেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী।

এমএ মোতালেব বলেন, ‘ভোটাররা যাতে যোগ্য প্রার্থী বেছে নিতে পারেন, সেজন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়া উচিত। দেশে সর্বক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাপক উন্নয়নসাধন করেছে। এ উন্নয়নের বারতা ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হলে যোগ্য প্রার্থী যেমন ভোটাররা বেছে নিতে পারবেন, তেমনই জনপ্রতিনিধির কাছে ভোটারদের কদরও বাড়বে। আমি মনেকরি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশের ইতিহাসে ইতিবাচক রাজনীতির মাইলফলক হয়ে থাকবে।’

লোহাগাড়ার এক স্কুল শিক্ষক ওবায়েদ হাসান বলেন, এমএ মোতালেব আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে সব সময় জনগণের পাশে ছিলেন। তাকে এলাকার মানুষ সুখে-দুঃখে পেয়েছে। কোনো প্রটোকল দরকার হয়নি। আমরা ভয়ে ছিলাম জামায়াত থেকে আগত কাউকে এবারও ভোট দিতে হয় কিনা! জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগে এসে দলের যে ভারসাম্য ছিল সেটা নষ্ট করা হয়েছে। এখন আওয়ামী পরিবারের ভোটাররা আওয়ামী লীগের নেতাকে ভোট দিতে পারবেন। আর দীর্ঘদিন এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকায় সাধারণ মানুষও এমএ মোতালেবকে ভোট দিবেন বলে আমার বিশ্বাস। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে দোয়া নিয়েছে। এতে এই আসনের ভোটের হিসেবে-নিকেশও পাল্টে যাচ্ছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।