বান্দরবানের তমব্রু থেকে উখিয়ায় হস্তান্তর করা হচ্ছে ২’শ রোহিঙ্গা

বান্দরবানের তামব্রু গ্রামের একটি বিদ্যালয় মাঠে আশ্রয় নেয়া ৩ হাজার রোহিঙ্গার মধ্য থেকে প্রথম ধাপে ২’শ রোহিঙ্গাকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে হস্তান্তরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এবং আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) মধ্যকার সংঘর্ষের সময় আগুনে বসতঘর পুড়িয়ে দিলে তুমব্রু গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিলো তারা।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় প্রথম দফায় বান্দরবান সীমান্তের তুমব্রু গ্রাম থেকে তাদের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসা হয়। এরপর দুপুর ১২টায় টোকেনের মাধ্যমে পরিচয়পত্র দিয়ে বাসযোগে টেকনাফের কুতুপালংয়ে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) ট্রানজিট পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, তুমব্রুতে আশ্রয় নেওয়া শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাই শেষে প্রথম দফায় একটি দল হস্তান্তর শুরু হয়েছে। সেখানে মোট ৫৬২ পরিবারের দুই হাজার ৯৭০ রোহিঙ্গার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রথম দিনে ৩৭ পরিবারের প্রায় ২০০ জন রোহিঙ্গাকে উখিয়া ট্রানজিট পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাকিদেরও পর্যায়ক্রমে হস্তান্তর করা হবে।

এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, সকালে তুমব্রু বাজারে আশ্রয় নেওয়া শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের ইউনিয়ন পরিষদে আনা হয়। পরে সেখানে সিআইসির মাধ্যমে তাদের টোকেন দিয়ে বাসে করে কুতুপালংয়ে পাঠানো হয়। বাকিদেরও একই প্রক্রিয়ায় পাঠানো হবে।