বিধ্বস্ত চট্টগ্রাম—কক্সবাজার সড়কে যোগাযোগ স্বাভাবিক হচ্ছে, ভোগান্তি বিস্তৃর্ণ এলাকায়

পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক পানি মুক্ত হওয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। দুর্গত এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক না হওয়ায় বন্ধ আছে টেলি যোগাযোগও। দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে এখনও বান্দরবানের সঙ্গে বন্ধ রয়েছে সড়ক যোগাযোগ।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকাল থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মহাসড়ক থেকে বন্যার পানি সরে যাওয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সকাল থেকে চট্টগ্রাম টু কক্সবাজার, কক্সবাজার টু চট্টগ্রাম গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে।

মারসা পরিবহণের কাউন্টার ম্যানেজার শামীম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কক্সবাজারের উদ্দ্যেশে তাদের গাড়ি যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম ত্যাগ করেছে। আবার কক্সবাজার থেকে যাত্রী নিয়ে মারসা পরিবহণের গাড়ি চট্টগ্রাম এসেছে।

সড়ক স্বাভাবিক হলেও জীবন যাত্রা স্বাভাবিক হয়নি সাতকানিয়া, বান্দরবান, চকরিয়া ও লোহাগাড়ার আংশিক এলাকায়। বিস্তীর্ণ ফসলী জমি ও লোকালয় তলিয়ে আছে পানিতে।

পানি সরে যাওয়ায় প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা ত্রাণ নিয়ে ছুটছেন। তবে মহাসড়ক থেকে তুলনামূলক দূরে অবস্থিত গ্রামগুলোতে খাবারের হাহাকার আছে বলে জানান অনেকে।

এই বন্যায় শত শত মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছে এবং বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠ নষ্ট হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তরা।

মিরাক্কেল তারকা খ্যাত আরমান জানান, তার চিংড়ি ঘের, ফসলি জমি সবই নষ্ট হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ অর্ধ কোটি টাকা বলেও জানান এই উদ্যোক্তা।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।