ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে কাল মাঠে নামছে বাংলাদেশ

ঘরের মাঠের সুবিধা ও নিজ ভক্তদের সমর্থনকে সাথে নিয়ে ২০১৫ সালের পর প্রথমবারের মতো তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ভারতের বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ।
রোববার ( ৪ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস ও গাজী টেলিভিশন।

২০১৫ সালে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিলো বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে যা ছিল টাইগারদের একমাত্র সিরিজ জয় ।
ইনজুরিতে পড়া তামিম ইকবালের জায়গায় এবারের সিরিজে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ওপেনার লিটন দাস। বিশেষ করে হোম কন্ডিশনে খেলা হওয়ায় ২০১৫ সালের পারফরমেন্সের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে না পারার কোন কারণ দেখছেন না লিটন।

ম্যাচ-পূর্ব সম্মেলনে আজ লিটন বলেন, ‘ঘরের মাঠে খেলা আমাদের জন্য বড় একটি সুবিধা। আমরা যখন ঘরের মাঠে খেলি, সবসময় আমাদের লক্ষ্য থাকে সিরিজ জয় করা। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্যই ভারত খুব ভাল দল এবং অনেক বিশ্বমানের খেলোয়াড় থাকার কারনে তারা শক্তিশালী। কিন্তু আমরা যদি আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারি তাহলে যেকোন কিছুই ঘটতে পারে। আমি মনে করি, আমাদেও ব্যাটিং ইউনিট বেশ থিতু এছাড়া ভালো বোলিং এবং ফিল্ডিং ইউনিট আমাদের রয়েছে। তাদের হারাতে না পারার কোন কারণ নেই। তবে এজন্য আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে।’

২০১৫ সালে সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ের পর ভারতের কাছে টানা পাঁচ ওয়ানডে ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ হেরেছিলো বাংলাদেশ। সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে হারলেও ভারতকে হারানোর সুযোগ তৈরি করেছিলো বাংলাদেশ। কিছু সময় ভাগ্য সাথে না থাকলেও কখনও-কখনও বাজে ফিল্ডিং বা ব্যাটিং ব্যর্থতায় নিজেদের ভুলেই ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ।

এমনকি গত মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লিটন দাসের বিধ্বংসী ইনিংসে ভারতকে হারানোর সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ।

উত্তেজনাপূর্ণ সর্বশেষ ঐ ম্যাচের স্মৃতি মনে করে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা জানান, আসন্ন সিরিজে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে।

রোহিত বলেন, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততে হলে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। যতবারই আমরা তাদের সাথে খেলেছি ততবারই দারুণ লড়াই হয়েছে। এমনকি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও টান-টান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ ছিলো। আমার স্মরণ আছে ২০১৫ সালে এখানে আমরা সিরিজ হেরেছিলাম। আমরা জানি গত কয়েক বছরে অনেক উন্নতি করেছে তারা। এজন্য জিততে হলে আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। সিরিজটি আমাদের জন্য সহজ হবে না।’
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারত ৩৬বার মুখোমুখি হয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে পাঁচটিতে। ভারতের জয় ৩০টিতে। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।

বাংলাদেশ দল: লিটন দাস (অধিনায়ক), আনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলি চৌধুরি, মেহেদি হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, এবাদত হোসেন চৌধুরী, নাসুম আহমেদ, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, নাজমুল হোসেন শান্ত ও নুরুল হাসান সোহান।

ভারত দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), লোকেশ রাহুল (সহ-অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি, রজত পাতিদার, শ্রেয়াস আইয়ার, রাহুল ত্রিপাঠি, ঋষভ পান্থ (উইকেটরক্ষক), ইশান কিষান (উইকেটরক্ষক), রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, শারদুল ঠাকুর, উমরান মালিক, মোহাম্মদ সিরাজ, দীপক চাহার ও যশ ঢুল।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।