যে ফ্যাকাল্টির চাহিদা নেই সেটি বন্ধ করে দিতে হবে—চবি উপাচার্য

বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানের কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার আহবান জানান। ভিসি ড. তাহের আরও বলেন, আমাদের দেশে ফ্যাকাল্টি একটা করলে আর বন্ধ হয় না। যে ফ্যাকাল্টির কোনো চাহিদা নেই সে ফ্যাকাল্টি বন্ধ করে দিতে হবে। যে ফ্যাকাল্টির চাহিদা আছে সে ফ্যাকাল্টি তৈরি করতে হবে। আমি আমেরিকাতে এমনটা দেখেছি। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা জানা তিনি।

এসময় উপাচার্য জানান, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগিয়ে যাওয়ার মূল শক্তি হচ্ছে গবেষণা। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের গবেষণায় মনোযোগী হতে হবে। বিষয়টা এভাবে হবে যে একটি বিভাগে যে কয়জন শিক্ষক আছে তাদেরকে বলে দিলাম যে প্রত্যেককে এক বছরে একটি করে গবেষণা পত্র প্রকাশ করতে হবে। এবং এসব আর্টিকেল কোন কোন জার্নালে প্রকাশিত হতে পারে প্রয়োজনে তাও বলে দেওয়া হবে। আজেবাজে কোনো কাগজে কিংবা জার্নালে ছাপালে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। যেসব জার্নালে অন্তত ৩ জন রিভিউয়ার থাকে সেসব জার্নালে প্রকাশ করতে হবে। এবং প্রয়োজনে চতুর্থ রিভিউ করতে হবে। দরকার হলে এসব গবেষণার জন্য আমি পুরষ্কারও দেব।
তবে গবেষণা হতে হবে অত্যন্ত মান সম্মত। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মানসম্মত দিয়ে লাভ হবে না। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে মান সম্মত হতে হবে।

তিনি আরো বলেন, যেসমস্ত গবেষণা দেশ ও জাতির জন্য কোনো কাজে আসবে না সেসবের আমার দরকার নেই। গবেষণা হতে হবে এমন যা সমাজে প্রভাব ফেলতে পারবে। যেসব গবেষণা দ্বারা সাধারণ মানুষের কোনো উপকার হবে না সেসব গবেষণার কোনো মুল্য নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে প্রাধান্য দেয়া হবে। কারণ একজন অযোগ্য ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা কর্মকর্তা হলে তিনি যতদিনই বিশ্ববিদ্যালয়কে সার্ভিস দিবেন ততদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের বোঝা স্বরূপ থাকবেন।

উপাচার্য এসময় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আলোকে শিক্ষা কারিকুলামকে সাজানোর কথাও বলেছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান যাবতীয় সংকট নিরসনের ব্যাপারেও কথা বলেন তিনি।