রেমিটেন্সযোদ্ধা প্রবাসীরা জাতির অহংকার ও সম্পদ—রেঞ্জ ডিআইজি মিনা

বাংলাদেশ পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরেআলম মিনা বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কথা আসলেই একবাক্যে স্বীকার করতে হয় প্রবাসী বাংলাদেশীদের অবদানের কথা, তাদের পাঠানো রেমিটেন্সের কথা। দেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স বড় ফ্যাক্ট। তাই রেমিটেন্সযোদ্ধা প্রবাসীরা জাতির অহংকার ও সম্পদ। প্রবাসীদের অবমূল্যায়ন করার কোনো সুযোগ নেই।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) নগরের খুলশীতে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে প্রবাসী সিআইপি ও বাংলাদেশ কমিউনিটি সংগঠকদের নিয়ে ‘প্রবাসী সহায়তা ডেস্ক’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) রওশন আরা রবের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি ছিলেন এনআরবি সিআইপি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী সিআইপি ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) প্রবীর কুমার রায় প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কুয়েত প্রবাসী সিআইপি আবুল কাশেমকে সম্মাননা তুলেন দেন রেঞ্জ ডিআইজি মিনা।
রেমিটেন্সযোদ্ধা প্রবাসীরা জাতির অহংকার ও সম্পদ—রেঞ্জ ডিআইজি মিনা 1

ডিআইজি নুরেআলম মিনা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে যুগান্তকারী অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তারপরও দেশে রেমিটেন্সযোদ্ধারা অবহেলার শিকার হবেন, প্রবাসে বসে পরিবারের নিরাপত্তাহীনতা বা দুষ্টুচক্রের দ্বারা অর্জিত জমি-সম্পত্তি আত্মসাতের অপচেষ্টার খবরে উদ্বিগ্ন থাকবেন, দেশে এসে হয়রানির শিকার হবেন, আইনগত বিষয়ে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরবেন-তা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। তাদের সহযোগিতা করা আমাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব। সেই বোধ থেকেই সহায়তা ডেস্কের মাধ্যমে প্রবাসীর পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগী হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।

রেমিট্যান্সযোদ্ধা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তা প্রচেষ্টা প্রসারিত করার লক্ষে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালেয় চালু করা হয়েছে ‘প্রবাসী সহায়তা ডেস্ক’। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার সহায়তা ডেস্কগুলোর কার্যক্রম সমন্বয় ও তদারকিসহ প্রবাসীদের সব ধরণের পুলিশী সহায়তা দিবে এই ডেস্ক।

প্রসঙ্গত, ইতোপূর্বে নুরেআলম মিনা চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ‘প্রবাসী সহায়তা ডেস্ক’ চালু করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।