লাইনের গ্যাসে জ্বলছে চুলা, ফিরছে স্বস্তি

চট্টগ্রাম নগরীর বাসা-বাড়ির চুলার লাইনে গ্যাসের দেখা মিলছে। চাপ কম হলেও দুইদিনের ভোগান্তির অবসানে গৃহিনীদের মুখে ফুটছে হাসি।
সোমবার (১৫ মে) সদরঘাট এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মী চৌধুরী জানান, সকাল থেকে লাইনে গ্যাস আসছে চাপ কম। তবে গত দুইদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটেছে।

কাতালগঞ্জ আবাসিকের বাসিন্দা ইবনে মিজান জয়নুল জানান, সকাল থেকে লাইনে গ্যাস পেয়েছি, চাপ কম ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ বেড়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এলএনজি বন্ধ করায় অসাধু ব্যবসায়ীরা সিলিন্ডারের দাম নিয়েছে দ্বিগুন। আমার বাসায় বিদেশ থেকে আনা ছোট সিলিন্ডার ছিল। সেটা অন্য সময় যে খরচে রিফিল করতাম গতকাল দ্বিগুনের বেশী টাকায় রিফিল করতে হয়েছে।

নাসিরাবাদ আলফালাহ গলির বাসিন্দা ইফতেখায়রুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে চুলার লাইনে গ্যাস আসছে। গত দুই দিন রেস্টুরেন্ট থেকে কিনে খাবার খেতে হয়েছে। রেস্টুরেন্টে চাপ থাকায় টাকা বেশি খরচ হলেও খাবারের মান ছিল নিম্ন মানের। লাইনে গ্যাস আসায় সমস্যার সমাধান হলো।

কাজির দেউড়ীর বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম বলেন, গ্যাস না থাকায় প্রথম বেলা রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার নিতে হয়েছে। তারপর বাসায় স্টোভ চুলায় কেরোসিন তেল দিয়ে রান্না করতে হয়েছে। ১০৯ টাকার কেরোসিন নিয়েছে ১৫০ টাকা লিটার। ভোগান্তির অবসান হলো।

মুরাদপুর শাখাওয়াত হোসেন থেকে জানান, গ্যান না থাকায় বিদ্যুতের ওপর চাপ পড়লেও গতকাল রাইস কুকার কিনেছি। কিন্তু গ্যাসের চুলোয় রান্নার যে স্বাদ-স্বাচ্ছন্দ সেটাতো রাইস কুকারে মিলবে না। গ্যাস লাইন স্বাভাবিক হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে।

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর গণসংযোগ কর্মকর্তা কুতুব উদ্দীন চট্টগ্রাম খবরকে জানান, ঘূর্ণিঝড়া মোখার প্রভাব কেটে যাওয়ার পর থেকেই গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। খুব দ্রুত গ্যাসের প্রেশারও বাড়বে।

প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের মহেশখালীতে অবস্থিত এলএনজি টার্মিনাল শাট-ডাউন করা হয় গত শুক্রবার রাত ১১টায়। তারপর থেকে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও আশুগঞ্জে গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হয়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।