সংঘর্ষে উত্তপ্ত চবি, থামাতে পারছে না প্রশাসন

বৃহস্পতিবার রাতের পর দ্বিতীয় দফায় ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুই উপগ্রুপ সিএফসি ও সিক্সটি নাইনের নেতাকর্মীরা। নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক সংঘর্ষে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও কোনমতেই থামানো যাচ্ছে না সংঘর্ষ।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। সন্ধ্যা পৌনে ৮টায় রিপোর্ট পাঠানোর আগ পর্যন্ত সংঘর্ষ চলমান রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষের জেরে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হল এলাকায় সিক্সটি নাইন ও শাহ আমানত হল এলাকায় সিএফসির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। এর পর সাড়ে চারটায় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

প্রতিবেদন পাঠানোর আগে সরেজমিনে দেখা গেছে, সিক্সটি নাইনের নেতা কর্মীরা শাহজালাল ও সিএফসির নেতারা শাহ আমানত হলের সামনে অবস্থান নিয়ে একে অপরকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল; কাচের বোতল নিক্ষেপ করছেন। এ সময় দুই গ্রুপের অনুসারীদের নেতাকর্মীদের দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা গেছে।

এছাড়াও নেতাকর্মীরা আবাসিক হলের কক্ষ ও শৌচাগারের দরজা, চৌকিখাট রাস্তায় এনে প্রতিরক্ষা বলয় তৈরি করেছেন। এ বলয়কে আশ্রয় করে একে অপরের দিকে ইট পাটকেল ও কাচের বোতল ছুড়ছেন সংঘর্ষে জড়িতরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দীর্ঘ চেষ্টার পরেও নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না।

তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে প্রক্টরিয়াল বডি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে কিছুক্ষণের জন্য থামে সংঘর্ষ। পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহীদ আব্দুর রব হলে অবস্থানরত সিএফসির কর্মীরা যোগ দিলে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। এর পর থেকে পৌনে ৮টায় রিপোর্ট পাঠানোর আগ পর্যন্ত দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলমান রয়েছে।

জানতে চাইলে চবি প্রক্টর ড. নূরুল আজিম শিকদার বলেন, বিকেল থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। আমরা উভয়পক্ষকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছিলাম। এমনকি হলেও ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুক্ষণ আগে আরেক হল (রব) থেকে একটি গ্রুপ এসে মারামারিতে যোগ দেয় এবং আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। আমরা অতিরিক্ত পুলিশের জন্য এসপিকে বলেছি। পুলিশ আসলে আমরা আবার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবো।

এর আগে, গতকাল রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছিলেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।