‘সাময়িক আশ্বাস নয়, স্থায়ী সমাধান’— চান চবির চারুকলার শিক্ষার্থীরা

শ্রেণীকক্ষ, ডাইনিং-ক্যান্টিনের ব্যবস্থা ও আবাসিক হল নির্মাণসহ ২২ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনের কর্মসূচি চলমান রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের। তাদের বক্তব্য — সাময়িক আশ্বাস নয়, সমস্যা সমাধান হতে হবে স্থায়ীভাবে। দাবি উঠেছে শহর থেকে ইনস্টিটিউটটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরেরও।

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে ফের অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় এসব কথা বলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত বুধবার শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনের ডাক দেন যা বৃহস্পতিবারও চলমান ছিলো।

চবির চারুকলার স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. শহীদ বলেন, “আমদের সব দাবি মেনে না নিলে আমরা আন্দোলন থেকে সরবো না। শুধু মৌখিক আশ্বাস দিলেই হবে না, লিখিত দিতে হবে প্রমাণস্বরূপ। আমাদের তো শ্রেণিকক্ষই নেই, সেটা এখানে (নগরীতে) হোক কিংবা মূল ক্যাম্পাসে, দিতে হবেই। না হলে আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে পারছি না। ক্লাস বর্জনই থাকবে।”

এখনও সমঝোতা হয়নি— এমন বিষয় তুলে ধরে চতুর্থ বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী খন্দকার মাসরুল আল ফাহিম বলেন, “আমাদের ক্লাসরুম, হল, ডাইনিং-ক্যানটিনের ব্যবস্থা কী হবে সেটা আমাদের এখনও তারা বলেননি। দাবি মেনে নেয়ার বিষয়ে কোনো লিখিত আশ্বাসও তারা দেননি।”

এদিকে আন্দোলনরত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের এখানে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নেই। ক্যাম্পাসের পরিবেশের সাথে এখানকার পরিবেশে বিস্তর তফাৎ। আমরা ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে চাই।

জানতে চাইলে চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের অনেক দাবি রয়েছে। আমি সময় নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে শাটলের পাশাপাশি বাস সার্ভিস দেওয়ার কথাও বলেছিলাম। কিন্তু তারা এতে রাজি হয়নি। তাই আমরা বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এবং খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছি, শিক্ষার্থীরা মূলত শহর থেকে ক্যাম্পাসে ফিরতে চান। আমরা এর বিপক্ষে না। তবে সবকিছু নিয়মানুযায়ী হবে। তাই ইনিস্টিটিউটকে ক্যাম্পাসে আনতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পর্ষদগুলোর অনুমোদন লাগবে। এটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই আমরা প্রাথমিকভাবে তাদের যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি।

আরও পড়ুন: সমস্যায় জর্জরিত চবির চারুকলা, শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জনের ডাক

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।