স্মাট বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট ছাত্র, স্মার্ট শিক্ষক

পটিয়ার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান লাভের মাধ্যমে সক্ষমতা অজর্ণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছিলেন যাতে শিক্ষকরা নিয়মিত বেতন পান। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি শনিবার (১৩ জানুয়ারী) উপজেলার জঙ্গল খাইন উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরষ্কার বিতরণ ও সংর্বধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের উন্নত স্বপ্ন দেখার আহবান জানিয়ে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কোথায় জন্ম হয়েছে তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ কিভাবে নিজেকে সক্ষম ও দক্ষ করে গড়ে তোলা যায়, তাহলেই দেশের মানব সম্পদের উন্নয়ন হবে। শিক্ষার্থীদের সেই লক্ষ্যে নিজেদের তৈরি করতে হবে। কৃষকের সন্তানও সক্ষমতা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষাকে আধুনিক ও ডিজিটাইজেশন করেছে। প্রতিটি স্কুল কলেজে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম ও আধুনিক ল্যাব করে দিয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন ও সহজলভ্যতার কারণে শিক্ষার্থীরা গ্রামে থেকে ও শহরের শিক্ষকদের পরামর্শ নিয়ে পড়াশোনা করতে পারছে। তারা এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ ঘোষণা করেছে। স্মাট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট ছাত্র, স্মার্ট শিক্ষকদের প্রয়োজন। শিক্ষকদের শিক্ষা পদ্ধতিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগাতে হবে।
শিক্ষার্থীদের মেধাকে বিকশিত করতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা দেশ ও জাতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী শিক্ষক দিদারুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডা. তিমির বরন চৌধুরী, মেয়র আইয়ুব বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জামান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, রাশেদ মনোয়ার, জেলা পরিষদের সদস্য ফারহানা আফরিন জিনিয়া, শাহাদাত হোসেন ফরিদ, গাজী মোহাম্মদ ইদ্রিচ, খুরশিদ রহমান, প্রফেসর এ বি এম আবু নোমান, মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল ইসলাম, মর্তুজা কামাল মুন্সি, মীর গোলাম মোস্তফা রাসেল, জয়নাল আবেদীন, প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইসহাক, লিটন বড়ুয়া, সাজু বড়ুয়া, শাহজাহান, কপিল উদ্দিন রাজু, জালাল আহমেদ, নুর হোসেন,আবদুল করিম, যুবলীগ নেতা মো. ফোরকান প্রমুখ।

এসময় প্রধান অতিথি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।