৩ দিনের মধ্যে সাংবাদিক হেনস্তায় বিচার না হলে আন্দোলনে যাবে চবিসাস

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় আগামী ৩ কার্য দিবসের মধ্যে বিচার না হলে আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক যৌথ বিবৃতিতে চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু এ হুঁশিয়ারি দেন।

এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি তিন দিনের আল্টিমেটাম দেয় চবিসাস। নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরও বিচার নিশ্চিত করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের অনুরোধের ভিত্তিতে আরও ৩ কার্যদিবস সময় বৃদ্ধি করে সংগঠনটি। এর মধ্যে যদি বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হয়, তাহলে আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে তারা।

যৌথ বিবৃতিতে সংঠনড়ির নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে শাখা ছাত্রলীগের কতিপয় অনুসারী চবিসাসের সদস্য ও দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি মারজান আক্তারকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে হেনস্তা করেন। এসময় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ ডিলিট করতে চাপ প্রয়োগের পাশাপাশি তার মোবাইল এবং ব্যাগ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এছাড়া ঘটনাস্থলে থাকা অন্য সাংবাদিকদের সঙ্গেও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন তারা।

পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে এ ধরনের উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলেও কোনো নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হয়নি তদন্ত কমিটিকে। যা বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ করা ছাড়া কিছুই নয়। গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রশাসনকে বিচার নিশ্চিতের জন্য ৩ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হলেও তদন্তের তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। তবে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করতে আল্টিমেটামের সময় আরও ৩ কার্যদিবস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এর মধ্যে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার পাশাপাশি পূর্ববর্তী সাংবাদিক হেনস্তার তদন্তাধীন ঘটনাগুলোর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় চবিসাস সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় পরবর্তীতে বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৯ ফেব্রুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকায় চারুকলা ইন্সটিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মারধর করেন শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভিএক্স ও বাংলার মুখের নেতাকর্মীরা। এসময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে হেনস্তার শিকার হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মারজান আক্তার ও আরটিভির ফটো সাংবাদিক এমরাউল কায়েস মিঠু। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত মারুফ ইসলামসহ আরো বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী জড়িত ছিলেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত শনিবার ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।