বীর মুক্তিযোদ্ধা, রত্নগর্ভা মা বেগম লায়লা হক আর নেই

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রত্নগর্ভা মা বেগম লায়লা হক আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাহি রাজিউন)। তিনি সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২.৪০টায় চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। দীর্ঘদিন তিনি ডায়াবেটিস, কিডনির জটিলতা ও হৃদরোগে ভুগছিলেন।

তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এ.কে ফজলুল হকের সহধর্মীনি ছিলেন। ফজলুল হক ছিলেন রাউজান থানা আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান।

মরহুমার প্রথম জানাজা সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) জোহর নামাজের পর রাউজান পশ্চিম গুজরার বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাগরিবের নামাজের পর ষোলশহর জামেয়া আহমদীয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা মাঠে দ্বিতীয় জানাজা এবং এশার নামাজের পর চট্টগ্রাম নগরীর হযরত গরীব উল্লাহ (র.) শাহ মসজিদের সামনে তৃতীয় জানাজা শেষে সেখানে দাফন করা হবে।

রত্নগর্ভা মা লায়লা হক ৪ ছেলে ও ৫ মেয়ের জননী। তাঁর বড় ছেলে পুর প্রকৌশলী শওকত ওসমান কুয়েত মিনিস্ট্রি অব ডিফেন্সে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে কর্মরত। মেজ ছেলে সফটওয়্যার প্রোগ্রামার শওকত হোসাইন কুয়েত-আমেরিকান যৌথ কোম্পানির কম্পিউটার প্রোগ্রামার। সেজ ছেলে লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি যুদ্ধাপরাধ বিরোধী আন্দোলনসহ প্রগতিশীল বিভিন্ন আন্দোলনের সক্রিয় নেতা। ছোট ছেলে শওকত আল আমিন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ হিসেবে কর্মরত আছেন।

মরহুমা লায়লা হকের বড় তিন মেয়ে স্কুল শিক্ষিকা এবং চতুর্থ জন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের বক্ষব্যাধির লেডি হোম ভিজিটর এবং ছোট মেয়ে আবুল খায়ের গ্রুপে এইচআর বিভাগে কর্মরত।

মহান মুক্তিযুদ্ধে রাউজানে ‘হযরত আলহাজ্ব ওচমান আলী মাস্টার রহ.-এর বাড়ির শেল্টার হাউজ’ প্রধান বীরনারী সরকার ও বিভিন্ন সংগঠন-সংস্থা কর্তৃক ‘রত্নগর্ভা মা’ সম্মাননায় ভূষিত-সংবর্ধিত সমাজহিতৈষী লায়লা হকের মৃত্যুতে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন নেতৃবৃন্দ শোক জানিয়ে মরহুমার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদানা জানিয়েছেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।