সব মাদ্রাসায় অ্যাসেম্বলিতে পাঠ করতে হবে নতুন শপথ

দেশের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আনতে মূলধারার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে মাদ্রাসা শিক্ষায় যুগোপযোগী বিভিন্ন নির্দেশনা আসছে। ইতোমধ্যে সব মাদ্রাসার প্রাত্যহিক সমাবেশে (অ্যাসেম্বলি) জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন বাধ্যতামূলক করা হযেছে। এবার সরকারিভাবে দেশের সব মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্ধারণ করা শপথ বাক্য মাদ্রাসাও পাঠের নির্দেশ দেওযা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব কাইজার মোহাম্মদ ফারাবির স্বাক্ষর করা এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আদেশে বলা হয়, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিদিনের সমাবেশে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর শপথ পাঠ করতে হবে।

এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর দেশের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠের ব্যবস্থা করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।

যে শপথবাক্য পাঠ করতে হবে :

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা।’

‘আমি দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না। দেশকে ভালোবাসবো, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করবো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলবো। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন।’

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।