আওয়ামী লীগ বাঙালির জন্য যে সুসময় এনে দিয়েছে তার সুরক্ষা করতে হবে: নাছির

প্রতিটি মহল্লায় স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ বিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করতে স্কোয়ার্ড গড়ে তুলুন। মনে রাখতে হবে আমরা একটা কঠিন সময় অতিক্রম করতে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগ বাঙালির জন্য যে সুসময় এনে দিয়েছে তার সুরক্ষা করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৩ মে) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের সরাসরি হুমকির প্রতিবাদে জেলা পরিষদ চত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, বাংলার হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান যে রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ তা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সেতুবন্ধন। এই চেতনায় শাণিত হয়ে একাত্তরের প্রেরণায় জ্বলে উঠতে হবে। আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরাসরি হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এটা আমরা সহ্য করতে পারি না। আমাদের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও শেখ হাসিনাকে রক্ষা করবো।

আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, যাদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন তারা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর প্রতিশোধ নিয়েছিলেন। আমরা আরো ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর হয়ে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আজ এই বাংলাদেশে যারা আগুন নিয়ে খেলবে তাদের সেই আগুনে পুড়ে ছাই হতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, বিএনপি-জামায়াত পাপচক্র আরেকটি পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্ট ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চায়। তাদের জানা উচিত এটা ২০২৩ সাল আগামী ২০২৪ সালে এই অশুভ পাপচক্রের চূড়ান্ত পতন ঘটানো হবে। তাদের আরো মনে রাখা উচিত পৃথিবীতে কোনো পাপচক্র দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না। ইতিহাসের শিক্ষা অনুযায়ী এদের ধ্বংস অনিবার্য। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চূড়ান্ত নির্দেশের অপেক্ষায় আছি। নির্দেশ পাওয়া মাত্রই ডাইরেক্ট অ্যাকশন শুরু হবে। তখন কেউ রক্ষা রক্ষা পাবে না।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, উপদেষ্টা শেখ মাহমুদ ইছহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দিদারুল আলম মাসুম ও হাসান মুরাদ প্রমুখ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।