চমেকে ছাত্র নির্যাতনে জড়িত ৭ শিক্ষার্থী বহিস্কার

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রাবাসে চার শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত সাত শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিস্কার করেছে কলেজে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) কলেজের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তাদের বহিস্কার করা হয়।

বহিস্কৃতরা হলেন ৫৯ ব্যাচের অভিজিৎ দাশ (৩ বছর), ৫৯ ব্যাচের রিয়াজুল ইসলাম, ৬২ ব্যাচের সাজু দাশ ও সৌরভ দেব নাথ (২ বছর) এবং ৬২ ব্যাচের মাহিন আহমেদ, জাকির হোসেন সায়েল ও ইব্রাহিম খলিল সাকিব (দেড় বছর)।
চমেক সূত্রে জানা গেছে, বহিস্কারাদেশ শেষে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে তাদের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে।

অ্যাকাডেমিক সিদ্ধান্তে যে রেজুলেশন হয় তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন, শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, গোয়েন্দা তথ্য যাচাই ও অন্যান্য সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী পরিলক্ষিত হচ্ছে কিছুদিন যাবৎ কিছু শিক্ষার্থীর যথেচ্ছাচারী আচরনের কারনে কলেজের সুষ্ঠ শিক্ষার পরিবেশ চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তারা সঙ্গবদ্ধ হয়ে কলেজ ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাসসমূহে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আসছে। তারই ধারাবাহিকার গত ২৯ ও ৩০ অক্টোবর ২০২১ খ্রি. ছাত্রাবাস ও ক্যাম্পাস এলাকায় ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। ইতিপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এলাকায় সংঘটিত সংঘাতের কারনে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হলেও উক্ত শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭ জন শিক্ষার্থী কলেজ ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাসের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও ছাত্র রাজনীতির নাম ভাঙিয়ে একক কর্তৃত্ব, গোষ্ঠীগত আধিপত্য এবং ব্যক্তিগত হিরোইজম প্রদর্শনের জন্য পুনরায় ৮ই ফেব্রুয়ারি এই নিন্দনীয় ঘটনা ঘটায়।’

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসের বিভিন্ন কক্ষ থেকে চার শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে রাত-দিন নির্যাতন করে বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। কলেজ অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার বিষয়টি প্রথমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও গণমাধ্যমে ছবি চলে আসায় তিনি স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

আরও পড়ুন:
চমেকে ৪ শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করলো বহিষ্কৃতরা
চমেকে নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের আইসিইউতে ঢুকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।