অধ্যাপক ইদ্রিস আলী ও আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবী

বীর মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী এবং চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব অধ্যাপক আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্ট এবং গণঅধিকার চর্চা কেন্দ্র, চট্টগ্রাম।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাসের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তাঁরা এ দাবী জানান।
এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ টিএম সরোয়ার কামাল দুলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্টের মহাসচিব ফাহিম উদ্দিন, ১১ নং সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডা. শাহা আলম ভূঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাফফর আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবু তৈয়ব, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মোঃ ইউনুস, মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী হাসিনা আক্তার টুনু, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক মহসিন কাজী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এবং পেশাজীবী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখক ও গবেষক জামাল উদ্দিন।

বক্তরা বলেন, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, দুর্নীতিবাজ নারায়ণ চন্দ্র নাথের দুর্নীতি, অনিয়ম, ফলাফল জালিয়াতি, অর্থ লুটপাটের যথাযথ শাস্তি বিধানের দাবী করায় বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবেশবিদ, কর্ণফুলী গবেষক-লেখক, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী এবং শিক্ষাবিদ চট্টগ্রাম বোর্ডের সাবেক সচিব প্রফেসর আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আমরা বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্ট এবং চট্টগ্রামের সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ এ মিথ্যা, প্রতিহিংসামূলক এ মামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কথিত উক্ত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার লাগামহীন দুর্নীতি ইতিমধ্যেই প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে দেশবাসী জেনেছে।
২০২০ সালের জে এস সি পরীক্ষার ফলাফল জালিয়াতি, এইচ এস সি এর ভর্তি জালিয়াতি, ২০২১ সালে এইচ এস সি পরীক্ষার ফলাফলে অসঙ্গতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি কর্তৃক দোষী প্রমাণিত হওয়া এবং অদ্যাবধি শাস্তি না পাওয়া, দুর্নীতিবাজ সচিব সন্তানের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে পনঃনিরীক্ষণ রহস্য ও ফলাফল কেলেঙ্কারি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সুবাদে জনমনে বিভিন্ন প্রকার সন্দেহ, ক্ষোভ ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের দুর্নীতির নজিরবিহীন এসব ঘটনা নিয়ে জনমানসে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করি।

এসব ঘটনাকে পাশ কাটাতে উক্ত কর্মকর্তা তার স্ত্রীকে দিয়ে সমাজে সুপরিচিত প্রফেসর, শিক্ষাবিদ, পরিবেশবিদ, নদী গবেষক-লেখক ও সুশীল সমাজের অন্যতম প্রতিনিধি হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত, বিশেষ করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জড়িয়ে মামলা দায়ের করেছে সাইবার ট্রাইব্যুনালে।
এটি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষাবিদের প্রতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি, অহংকার ও অর্জনের প্রতি চরম অবমাননাকর, লজ্জাস্কর এবং তীব্র ঘৃণার। গর্হিত এ কাজের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।
মামলা দায়ের করেছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি শিক্ষাবিদ প্রফেসর আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধেও।
একজন সরকারি কর্মকর্তার পক্ষে এ ধরনের হীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অপমানজনক, আপত্তিকর, সাজানো মামলা মূল ঘটনাকে পাশ কাটানোর অপচেষ্টা। ষড়যন্ত্র মূলক এ কর্মের তীব্র নিন্দা জানাই আমরা মুক্তিযোদ্ধারা।
একই সাথে এই মামলা প্রত্যাহারপূর্বক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডঃ মোঃ ইদ্রিস আলীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনাসহ দায়ীদের যথাযথ শাস্তি বিধানে জোর দাবি জানাই।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন জামশেদ উদ্দিন, আই এইচ আর সি মানবাধিকার কমিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এম এ হাশেম রাজু, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের মহাসচিব কামাল উদ্দিন, , চৌধুরী জসিমুল হক, জসিম উদ্দিন, এম জসিম উদ্দিন, যুবনেতা মোরশেদ আলম, পরিবেশবিদ ইমতিয়াজ আহমেদ।

সিঞ্জন ভৌমিকের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লাহ বাহার, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন, দয়াল হরি দে, খাজা নিজামুদ্দিন, কিরণলাল আচার্য, গোলাম মাওলা চৌধুরী, আবুল হোসেন মাস্টার, আনোয়ার মিয়া, আবু জাফর আজাদ, তৌহিদুল করিম কাজল, মোঃ জাহেদ আহমদ, কামাল আহমদ, দেবপ্রসাদ দাশ ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।