এস এম আল মামুন—মানবকল্যাণ আর উন্নয়নের উত্তরাধিকার

এস এম আল মামুন—যার রক্তেই রয়েছে মানবকল্যাণ, মানুষের সেবা, এলাকার উন্নয়নের ধারা। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সীতাকুণ্ড আসনে নৌকা প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী। তার পিতা মাস্টার আবুল কাশেম ছিলেন এই আসনের দুই বারের সাংসদ। পিতার আদর্শ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখেই তাঁর বেড়ে ওঠা। যার কারণে মামুনের মননে গেঁথে আছে মানুষের সেবা করা, আর্থ সামাজিক উন্নয়ন।

এস এম আল মামুন পর পর দুইবার সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার হাত ধরে সীতাকুণ্ডের স্থানীয় জনগণের জীবনমানে এসেছে ব্যাপক উন্নয়ন। একজন উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে রাত-দিন ছুটে গেছেন মানুষের বিপদে আপদে। তাঁর দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় যতগুলো উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনা নিয়েছেন সবই তিনি বাস্তবায়ন করেছেন। তাঁর হাত ধরেই শতভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে ৪২৯টি প্রকল্প, কাজ চলমান আছে ৬৫টি। আর এই ৪৯৪টি প্রকল্পের খরচ হয়েছে ৪৭ কোটি ৫৩ লাখ ৩৪ হাজার ৮৩২ টাকা।

এস এম আল মামুন—মানবকল্যাণ আর উন্নয়নের উত্তরাধিকার 1

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মনির হায়দার বলেন, সীতাকুণ্ডে গত ১০ বছরে শুধুমাত্র উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়েছে ৪৯৪টি প্রকল্প। এই ৪৯৪ প্রকল্পের ৪১৮টিই উপজেলা রাজস্ব খাতের, অপর ৭৬টি প্রকল্প এডিবি তহবিলের। এর মধ্যে ৪২৯টি প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হয়েছে, ৬৫টি কাজ শেষের দিকে রয়েছে।

এস এম আল মামুন—মানবকল্যাণ আর উন্নয়নের উত্তরাধিকার 2

এস এম আল মামুন একজন সাবেক সাংসদের সন্তান শুধু নন—ছাত্রলীগ, যুবলীগের শীর্ষ পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি এখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সীতাকুণ্ড উপজেলা সাধারণ সম্পাদক। রাজনীতির মাঠ থেকে উঠে আসা একজন রাজনীতিবিদ মামুন। ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি সম্পৃক্ততা মামুনকে দিয়েছে রাজনৈতিক পরিপূর্ণতা।
সাংসদ নির্বাচিত হলে সীতাকুণ্ডের জন্য কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন—যেহেতু দুই বার আমি উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলাম আমার কাজের একটা ধারাবাহিকতা আছে। সেটা রক্ষা করার বড় ক্ষেত্র আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার জন্য দিয়েছেন। আমি উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে যখন যা চেয়েছি সরকার আমাকে সেই সহযোগিতা দিয়েছে। আমি বঙ্গবন্ধু তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে প্রচেষ্টা আমি সেই প্রচেষ্টার একজন অংশীদার হবো। মহান সংসদের তিনশ আসন। আমার আসনটি আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে সব পদক্ষেপ নেবো।

এস এম আল মামুন—মানবকল্যাণ আর উন্নয়নের উত্তরাধিকার 3

উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন—মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বদরবারে সম্মানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, সীতাকুণ্ড তার অংশীদার। এখানে দেড়শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে। আমাদের ছেলে মেয়েরা পড়াশোনায় পিছিয়ে নেই। বাইর থেকেও উচ্চ শিক্ষা নিতে ছেলে মেয়েরা সীতাকুণ্ডে আসছে। আমি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সরকারের সব কিছুতে অংশীদার ছিলাম। এলাকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এবার সাংসদ হিসেবে আমার ভূমিকা রাখবো

তিনি আরও বলেন, সীতাকুণ্ডে মাঝারি থেকে ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে ৩৭০টি। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সীতাকুণ্ডের অবদান কতটুকু তা সহজেই অনুমেয়। এসব শিল্প প্রতিষ্ঠান যাতে পরিবেশ সম্মতভাবে পরিচালিত হয় সেটি নিশ্চিত করা জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার দায়িত্ব মনে করি।

এস এম আল মামুন—মানবকল্যাণ আর উন্নয়নের উত্তরাধিকার 4

‘পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনার নাম সীতকুণ্ড’ উল্লেখ করে এস এম আল মামুন বলেন, সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালি, বাঁশবাড়িয়া, সৈয়দপুর সমুদ্রসৈকত, খৈয়াছড়া ঝরনা, সুপ্তধারা ঝরনা, সহস্রধারা ঝরনার মতো আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট রয়েছে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ডিসি পার্ক স্থাপন করেছেন। আমার দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে সীতাকুণ্ডে দেশের প্রথম ইকোপার্ক—সীতাকুণ্ড বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকো-পার্ক স্থাপন করেন। সীতাকুণ্ডের সৌন্দর্য উপভোগ করতে যে পরিমাণ পর্যটক আসেন তাদের নিরাপত্তা, তাদের সহজ যাতায়াতসহ সব কিছু একটা ফ্রেম ওয়ার্কে আনা গেলে দেশের মতো বিদেশীদেরও পর্যটন স্পট হিসেবে গন্তব্য হবে সীতাকুণ্ড। সীতাকুণ্ডের নাম বিশ্বদরবারে পর্যটন হাব হিসেবে খ্যাতি পাবে। আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে যেমন রাজস্ব যুক্ত হবে, তেমনি সীতাকুণ্ডের সম্মানও বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠা পাবে।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের চন্দ্রনাথ পাহাড় ও চন্দ্রনাথ মন্দির নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এস এম আল মামুন বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। সীতাকুণ্ডে সব ধর্মের অনুসারীদের বসবাস। ধর্মীয় তীর্থস্থানের পবিত্রতা রক্ষা আমাদের সবার দায়িত্ব। চন্দ্রনাথ পাহাড়ে অবস্থিত মন্দিরের পবিত্রতা যাতে কোনোভাবে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে সেই ব্যবস্থা আমরা নেবো। ধর্মীয় স্থাপনার মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখেই আমাদের পর্যটন মহাপরিকল্পনা নেওয়া হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।