কর্ণফুলীতে ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে মহাসড়কে পশুর হাট, জনভোগান্তি

মহাসড়কের পাশে কিংবা মহাসড়কে পশুর হাট না বসার বিষয়ে পশুর হাট ইজারার শর্তে সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও সেই শর্ত ভঙ্গ করে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে বসানো হয়েছে হাট। এতে ভোগান্তি পড়েছেন সড়কে যাত্রীবাহী পরিবহন ও মালবাহী পরিবহন। তৈরি হয়েছে দীর্ঘ যানজটের।

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু টানেলের সংযোগ সড়কের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। কর্ণফুলীর শিকলবাহা ওয়াই জংশন থেকে আনোয়ারার কালাবিবির দীঘি পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার ৬ লেনের সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ। তবে টানেল উদ্বোধনের আগে কর্ণফুলীর অংশে বড়উঠান ফাজিলখার হাট এলাকার এক কিলোমিটার মহাসড়কের উপর বসেছে কোরবানির পশুর হাট। সড়কের দু’পাশে গরু, ছাগল বেঁধে চলছে বেচাকেনা।

সোমবার বিকেলে এবং মঙ্গলবার (২৭ জুন) উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের দৌলতপুর ফাজিল খার হাট সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দৌলতপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশ ফটকে গরু-ছাগল ও অন্যপাশ ধরে কেইপিজেড গেইট পর্যন্ত গরুর হাট বসানো হয়েছে। এছাড়া আশপাশের সড়কেও গরুর ছড়াছড়ি। বৃষ্টিতে গোবর, গোখাদ্যসহ আবর্জনায় ভরে গেছে চারপাশ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সড়কে যাত্রীবাহী পরিবহন ও মালবাহী পরিবহন।

স্থানীয়রা বলছেন, এভাবে নির্মিত টানেল সড়কে অবৈধভাবে হাট বসার কারণে সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা।

হাটে পশু কিনতে আসা আবুল কালাম নামে এক ক্রেতা বলেন, মহাসড়কের উপর এভাবে হাট বসানো ঠিক হয়নি। এভাবে পশুর হাট বসানোর ফলে ভোগান্তি বেড়েছে মানুষের। মানুষের বিবেক চলে গেছে। না হলে মানুষ কেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কের পাশে হাট বসাবে।

ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতি বছরই কোরবানির হাট এলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় মহাসড়কের উপর কোনো হাট বসবে না। কিন্তু হাটের সময় এলে সে কথা আর কেউ মনে রাখে না। ঈদের মৌসুমে শহর থেকে মানুষ বাড়ি ফিরছেন। এমন সময়ে মহাসড়কের উপর পশুর হাট ঘরমুখো মানুষদের বিড়ম্বনায় ফেলছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাজারের ইজারাদার মো. আজাদ মুঠোফোনে বলেন, আমি তো আমার মাকে নিয়ে হাসপাতালে আছি আপনি মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেন বলে সংযোগটা কেটে দেন। এরপরই মুজিবুর রহমানকে ফোন দিলে তিনিও ব্যস্ত আছেন জানিয়ে সংযোগটা কেটে দেন।

সড়কে পশুর হাট বসানোর বিষয়ে জানতে চাইলে
কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুনুর রশীদ বলেন, সড়কের উপর পশুর হাট বসানোর বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর হাটটি তুলে নেওয়ার জন্য গ্রাম-পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি। তারা কাজ করছেন। এছাড়াও সড়কে পশুর হাট বসানোর দায়ে ইজারাদারের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।