গুমানমর্দন ইউনিয়নে কৃষকদের মাঝে ঐতিহ্যবাহী ‘জুঁইর’ বিতরণ

যান্ত্রিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী কৃষি ও গৃহসামগ্রী। আধুনিকতার কাছে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার এক সময়ের জনসাধারণের বৃষ্টি থেকে বাঁচার প্রধান মাধ্যম বাঁশ ও বেতের তৈরি ‘জুঁইর’ বা জোংলা (মাথাসহ পিঠ ঢাকার এক ধরনের বর্ষাতি)।

এক সময় বর্ষা মৌসুমে ধুমধামের সঙ্গে তৈরি হতো জুঁইর। ব্যস্ত সময় পার করতেন এর নির্মাতা গ্রামীণ কারিগরেরা। এখন তাদের আর হাট-বাজারে দেখা যায় না। অনেকটা বেকার সময় পার করছেন তারা।

সে কথা মাথায় রেখে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার গুমানমর্দন ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা তহবিল হতে অসহায় দরিদ্র কৃষকদের সুবিধার্থে একটি করে জুঁইর, দুটি কাস্তে, একটি কোদাল ও হাতল প্রদান করেছে গুমানমর্দন ইউনিয়ন পরিষদ।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকালে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে ইপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সচিব আবু তৈয়বের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আল মামুন শিকদার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এই চমৎকার ও ব্যতিক্রম ধর্মী আয়োজনের জন্য উক্ত ইউনিয়ন পরিষদকে ধন্যবাদ দেওয়া যায়। একেবারে ভিন্ন একটি ব্যবস্থা করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

সভাপতির বক্তব্যে মজিবুর রহমান বলেন, জুঁইর হারিয়ে যাচ্ছে। নানা প্রযুক্তির আগমনে অনেক কিছুই চাপা পড়ে যাচ্ছে। বিশেষত একজন কৃষককে আমরা কখনো কিছু দিয়ে তাদের যে ঋণ তা আমরা শোধ করতে পারবো না। শুধুমাত্র তাদের কাজে আরো কিছুটা উৎসাহ দেওয়া আমাদের লক্ষ্য। তিনি গুমানমর্দনের সকল কৃষককে যেকোনো সমস্যায় ইউনিয়ন পরিষদে এসে তাকে জানানোর আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মো. শফি, আজিজুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ শহীদ প্রমুখ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।