টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশী পাসপোর্ট সরবরাহ করছে একটি চক্র। সেই পাসপোর্ট ব্যবহার করে তারা পাড়ি জমাচ্ছে বিদেশে। প্রবাসে তাদের উশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশ নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয় বারবার। রোহিঙ্গাদের জন্য পাসপোর্ট তৈরি করতে ঢাকা যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসিতে দুই রোহিঙ্গাসহ গোয়েন্দা জালে ধরা পড়ছে ৬ দালাল।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- সাতকানিয়ার মো. খসরু পারভেজ (৩৬), বান্দরবানের নাইক্ষ্যাংছড়ির মো. তসলিম (৪০), চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার মো. ইসমাইল (২০) এবং পটিয়ার মো. ফারুক (২৭)। মো. জাবের (২৫) ও রজি আলম (২৭) মিয়ানমারের নাগরিক।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি তুলে ধরেন সিএমপির গোয়েন্দা শাখার উপ-কমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান। এসময় সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (গনমাধ্যম) প্রকৌশলী স্পিনা রানী প্রামাণিকসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ডিসি-ডিবি নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবে পালিয়ে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আমরা বাংলাদেশি পাসপোর্টসহ আসাদুল্লাহ নামে এক রোহিঙ্গাকে আটক করার পর সন্ধান মেলে এ জালিয়াত চক্রটির। আসাদের দেয়া তথ্যমতে ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের জন্য পাসপোর্টের কাজে ঢাকায় যাওয়ার পথে জিইসি এলাকা থেকে চক্রটির ৬ সদস্যকে আমরা গ্রেপ্তার করি। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি পাসপোর্ট ও একটি জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ চক্রে আরও ৪ থেকে ৫ জন সদস্য রয়েছে। তাদের সহায়তায় রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাঠাতে সহযোগিতা করে আসছে তারা। প্রতিটি পাসপোর্ট তৈরিতে ১ লাখ টাকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানোর জন্য ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।