চট্টগ্রামেও মিলেছে করোনার অমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট

করোনা ভাইরাসের অতিসংক্রমণ ভ্যারিয়েন্ট অমিক্রনের অস্তিত্ব মিলল চট্টগ্রামেও। ২০ জানুয়ারি নাগাদ অন্তত ১৫ জনের শরীরে নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তার মধ্যে ৮টি নিশ্চিত হলেও ৭টি নিশ্চিত হতে আরও কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে।

চট্টগ্রামে ৮ জনের শরীরে অমিক্রন পাওয়ার তথ্য প্রকাশ করেছে জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা (জিআইএসএআইডি)। অমিক্রনের অস্তিত্ব পাওয়া নমুনাগুলো গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ল্যাব থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারী রয়েছেন।

এসব নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছেন চট্টগ্রামের একদল গবেষক। আইসিডিআরবির ল্যাবে হওয়া এই গবেষনার দলে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আদনান মান্নান, ডা. এইচ এম হামিদ উল্যা মেহেদি, ডেভিড জে কেলভিন, আবদুল্লাহ মাহমুদ আল রাফাত, ডা. আব্দুর রব, মিনহাজুল হক, ডা. রাজদ্বীপ বিশ্বাস, ফাহিম হাসান রেজা, মজনু মিয়া, রাশেদুল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, মো. এনায়েত হোসাইন।

অপরদিকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৩৭টি পজিটিভ সেম্পল গবেষণা করে কমপক্ষে ৭টিতে অক্রিমন পাওয়ার বিষয়টি ৯০ ভাগ নিশ্চিত হয়েছেন গবেষকরা। সেই সাত ব্যক্তি সবাই চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাসিন্দা। তবে অমিক্রন কিনা তা চূড়ান্ত হবে আগামী সপ্তাহে।

সিভাসুর সহকারী অধ্যাপক ও সিভাসুর ল্যাবে দায়িত্বে থাকা ইফতেখার আহমেদ রানা চট্টগ্রাম খবরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমরা ৩৭টি করোনা পজিটিভ নমূনা গবেষণা করেছি। তার মধ্যে ৭টিতে অমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট থাকার সম্ভাবনা আমরা ৯০ ভাগ পেয়েছি। তবে চূড়ান্তভাবে অমিক্রন নিশ্চিত হতে নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ হোসেন চৌধুরী বলেন, আমিও বিষয়টি শুনেছি। তাদের কিটে সাতটি অমিক্রন তারা শনাক্ত করেছেন। তবে তা এখনো অফিসিয়ালি নিশ্চিত করা হয়নি। তারা জিনোম সিকোয়েন্সের পর অফিসিয়ালি জানাবেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।