চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় দুই খুনি ফাঁসিতে ঝুললো কুমিল্লা কারাগারে

চট্টগ্রাম রেলওয়ের কর্মচারী বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন আহম্মেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শিপন হাওলাদার ও নাইমুল ইসলাম মঈনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

দীর্ঘ প্রায় ১৯ বছর পর সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ফাঁসি কার্যকরের দায়িত্বে ছিলেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জল্লাদ নাছির উদ্দিন ও সিরাজ মিয়া।

এসময় কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন, জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ, জেলার আসাদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান, ফাঁসি কার্যকরের পর ময়নাতদন্তসহ কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাদের মরদেহ কারাগারের ব্যবস্থাপনায় অ্যাম্বুলেন্সে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত শিপন চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার দক্ষিণ আমবাগানের মৃত ইউনুছ হাওলাদারের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া থানার নন্দনসার গ্রামে।

অপর আসামি নাইমুল ইসলাম ওরফে মঈন চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার লালখান বাজার ডেবারপাড় এলাকার মৃত ঈদুন মিয়া সরকারের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার রতনপুর পূর্বপাড়া গ্রামে।

মঙ্গলবার দিনভর কনডেম সেলে দুজনই নামাজ ও কোরআন শরীফ পড়ে সময় অতিবাহিত করেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কারাগারে এসে দণ্ডপ্রাপ্ত মঈনের সঙ্গে তার ভাই-বোনসহ ৩ জন, শিপনের সঙ্গে তার মা-ভাইসহ ৩ জন প্রায় ২০ মিনিট কথা বলেন।

কারাবিধি অনুসারে বিকেল ৫টা এবং সর্বশেষ রাত ৯টার দিকে কারাগারের সহকারী সার্জন ডা. রেজা মো. সরোয়ার আকবর দু’দফায় দুই জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।

রাতে গোসল শেষে তওবা পাঠ করান কারা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা হাফেজ মো. জোনাইদ। এরপর তাদের পছন্দের খাবার খাওয়ানো হয়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।