জব্বারের বলীখেলার ১১৫তম আসরের জার্সি ও ট্রফি উন্মোচন

২৫ এপ্রিল জব্বারের বলীখেলা, ২৪-২৬ এপ্রিল বৈশাখী মেলা

১৯০৯ সালে চালু হওয়া জব্বারের বলীখেলার ১১৫তম আসর প্রতিবছরের মতো এবারও ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। খেলাকে কেন্দ্র করে আগের দিন শুরু হবে বৈশাখী মেলা। মেলা চলবে তিনদিন। খেলায় অংশগ্রহণকারীদের জার্সি এবং বিজয়ীদের ট্রফি উন্মোচন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে লালদীঘির সিটি করপোরেশন মিলনায়তনে আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও বৈশাখী মেলার ট্রফি এবং জার্সি উন্মোচন করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, করোনা মহামারিতে মেলাটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই মেলার সঙ্গে চট্টগ্রামবাসীর আবেগ জড়িত ছিল। কমিটির উৎসাহ, দৃঢ়তায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আমার অনুরোধ নতুনদের বলীখেলা শিখিয়ে যাবেন। নৌকা বাইচ, হাডুডু খেলাসহ অনেক ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা ঐতিহ্য নষ্ট হতে দিতে পারি না।

বলীখেলাকে ঘিরে আয়োজিত তিনদিনের মেলায় কোটি টাকা লেনদেন হয় উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এ বলীখেলায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে নানা রকম পণ্য এখানে বিক্রি হয়। কোটি টাকার ব্যবসা হয়।

জব্বারের বলীখেলার ১১৫তম আসরের জার্সি ও ট্রফি উন্মোচন 1

বলীখেলার এবারের পৃষ্ঠপোষক দেশের খ্যাতনামা শিল্পপতি মরহুম মো. নাসির উদ্দিনের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএইচটি হোল্ডিংস। অনুষ্ঠানে এনএইচটি হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর বলেন, বলীখেলা চট্টগ্রামের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। ছোট থেকেই আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম কখন খেলাটা, মেলাটা হবে। চট্টগ্রামের ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা বলীখেলায় পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছি।

আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও বৈশাখী মেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও চ্যানেল আই’র বিভাগীয় প্রধান চৌধুরী ফরিদ বলেন, জব্বারের বলীখেলা শুধু চট্টগ্রামের নয়, দেশের ঐতিহাসিক এবং ঐতিহ্যবাহী খেলা। বিশ্ববাসীর কাছে এ খেলা তুলে ধরতে আমার সাংবাদিক সহকর্মীরা ভূমিকা রাখছে। বলীখেলা বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বলীদের প্রশিক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতা আরও বাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতি জহরলাল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল বক্তব্য রাখেন এবং বলী খেলার সাবেক রেফারি ও চসিকের সাবেক কাউন্সিলর এমএ মালেক, ক্রীড়া সংগঠক হাফিজুল ইসলাম, কাউন্সিলর রুমকী সেনগুপ্ত, সাবেক কাউন্সিলর মুহাম্মদ জামাল হোসেন, জাবেদ নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।