শিল্পপতি নাসির উদ্দিনের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

প্যাসিফিক জিন্সের প্রতিষ্ঠাতা ও দেশের অন্যতম শিল্প উদ্যোক্তা নাছির উদ্দিনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। গত বছর ২৮ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া ৩টায় থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
এরপর ২ মার্চ সকালে থাইল্যান্ড থেকে তাঁর লাশ দেশে আনার পর সেদিন সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম ইপিজেডে তাঁর প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। বাদ যোহর জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাযা এবং বাদে আছর সীতাকুণ্ডের সলিমপুর নিজ বাড়িতে তৃতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়

দানবীর এই শিল্পপতির মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি, চট্টগ্রাম চেম্বার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার, সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন, পোশাক রপ্তানীকারকদের সংগঠন- বিজিএমইএসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ শোক জানিয়ে পরিবারের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

মরহুম নাসির উদ্দিন জীবদ্দশায় মর্যাদাপূর্ণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার-২০২০, টানা ৭টি স্বর্ণপদকসহ মোট ২৪টি জাতীয় রপ্তানিকারক পুরস্কার, ৩ বার এইচএসবিসি বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ও ১ বার সেরা ব্যবসায়ী পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশে তৈরি জিনসের তৈরি পোশাক তিনি বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন।

মো. নাসির উদ্দিন ১৯৮৪ সালে এনজেডএন ফ্যাশন দিয়ে তৈরি পোশাকশিল্পে যাত্রা শুরু করেন। এক দশক পর ১৯৯৪ সালে চট্টগ্রাম ইপিজেডে তারা প্যাসিফিক জিন্স নামে নতুনভাবে পথচলা শুরু করেন। তখন সেই কারখানায় কাজ করতেন দেড় হাজার শ্রমিক। বর্তমানে প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেডে প্রত্যক্ষভাবে কর্মসংস্থান হচ্ছে ৩০ হাজারের বেশি মানুষের।

বর্তমানে প্যাসিফিক জিনস গ্রুপের ব্যবসা সামলাচ্ছেন তাঁর তিন সন্তান সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর ও সৈয়দ মোহাম্মদ তাহমীর। সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর চট্টগ্রাম চেম্বারের সহ-সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শতবর্ষী এই ব্যবসায়ী সংগঠনের।

মৃত্যুর আগে মো. নাসির উদ্দিন দেশের মানুষের জন্য বিভিন্ন কল্যাণধর্মী কাজ করেছেন। পিতার কল্যাণধর্মী কাজ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি তাঁর মৃত্যুর পর মানুষের সেবা এবং সমাজের উন্নয়নধর্মীর কাজের গতি আরও বিস্তৃত হয়েছে তাঁর সন্তানদের হাত ধরে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।