টি শার্ট ও লেডিস ড্রেস রপ্তানির ঘোষণার আড়ালে বেবি ড্রেস, জিন্স প্যান্ট, শার্ট, লেগিন্স, শালসহ ঘোষণা বহির্ভূত ৯টি চালানের প্রায় ৭ কনটেইনার পণ্য আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। চালানগুলো মালয়েশিয়া, সুদান, ইউএই, ত্রিনিদাদ, টোবাগো নেওয়ার কথা ছিল। আটককৃত পণ্যের ওজন ১১৮ টন, ঘোষিত মূল্য ৩ কোটি টাকা। যার প্রকৃত মূল্য বেশি হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
জানা গেছে, গত ৩১ জানুয়ারি উত্তর পতেঙ্গার এসএপিএল (ওসিএল) কনটেইনার ডিপোতে অভিযান পরিচালনা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের একটি টিম। অভিযানে ঢাকার মোল্লার টেকের সাবিহা সাইকি ফ্যাশন নামের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের ১৫টি বিল অব এক্সপোর্ট সংক্রান্ত দলিল পর্যালোচনায় জালিয়াতির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। পরে যাচাই বাছাই শেষে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নিশ্চিত হন ভুয়া ইএক্সপি এবং এলসি কিংবা সেলস কন্ট্রাক্ট ব্যবহার করে পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছিলো। প্রতিষ্ঠানটির ১৫টি চালানের মধ্যে ৯টি ডিপোতে পাওয়া যায়। বাকিগুলো বিদেশে চলে গেছে। সেই ৯টি চালান আটকে দেয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চত করে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. শাকিল খন্দকার জানান, এসব রপ্তানি চালানের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ধরনের আরও কিছু রপ্তানিকারকের বিষয়ে গোপন সংবাদ থাকায় তদন্ত চলমান রয়েছে। সার্বিক অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক মো. সাইফুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ৮ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে একই রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটির ৯৪টি চালানের খোঁজ মিলেছে। এর মধ্যে ৮৫টি বিদেশে চলে গেছে। যার পরিমাণ ৮৮২ মেট্রিক টন, ঘোষিত মূল্য ২২ কোটি টাকা।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।