ডেঙ্গু চোখ রাঙাচ্ছে চট্টগ্রামে

চট্টগ্রামে করোনা নিয়ন্ত্রণে। ডায়রিয়া আক্রান্তের হারও নিম্নমূখী। কিন্তু শঙ্কা জাগাচ্ছে ডেঙ্গু। গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে ১০ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১৪৯ জন। তাদের মধ্যে ৬১ জন পুরুষ, মহিলা ৪২ জন আর ৪৬ জন শিশু।

বুধবার (৩১ আগস্ট) জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৮৬ জনের নমূনা পরীক্ষা করে কারো শরীরে করোনা পাওয়া যায়নি।

এর আগে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত গত এক সপ্তাহে ৫৩৫ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে। ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছে ১০৮ জন। গত এক মাসে আক্রান্ত হয়েছে দুই হাজার ৫৪৯ জন।

চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলা ও নগরে যে পরিমাণ মানুষ বসবাস করে তার তুলনায় ডায়রিয়া আক্রান্ত হওয়া হার নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবী করেছে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী।

তিনি বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে। ডায়রিয়াও নিয়ন্ত্রণে, কারণ যে কোনো এলাকার দুই থেকে পাঁচ শতাংশ মানুষ বছরে ডায়রিয়া আক্রান্ত হতে পারেন। পাঁচ শতাংশের বেশী হয়ে তা শঙ্কার। গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে ১০৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। নগর আর উপজেলা মিলে যে পরিমাণ মানুষের বসবাস তার তুলনায় ডায়রিয়া আক্রান্তের হার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তবে ডেঙ্গু নিয়ে আমরা কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) আমরা নমূনা পাঠিয়েছি। ডেঙ্গু আক্রান্তের কারণ সেখান থেকে জানা যাবে। তবুও প্রাথমিকভাবে বলতে পারি, কয়েক দিন আগে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। এতে যেসব স্থানে এডিস জন্মায় সেসব স্থানে পানি জমেছে। এডিস মশার বংশ বিস্তার হচ্ছে।

নগরবাসীকে সতর্ক থাকার পরমর্শ দিয়ে ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, মশার কামড় থেকে নিজেদের আত্মরক্ষা করতে হবে। নিজেদের আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। এডিসের বংশ বিস্তার রোধ করতে হবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনও এ বিষয়ে কাজ করছে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আবুল হাশেম চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, নগরীর কোন এলাকায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশী সেই তথ্য আমরা পেতে দেরী হয়েছে। যে দপ্তর থেকে পাওয়ার কথা সেখানে পাইনি। পরে হাসপাতালগুলো থেকে তথ্য নিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী যে সব এলাকার সেই সব এলাকায় আমরা অভিযান চালিয়ে ওষুধ প্রয়োগ করেছি। আমাদের পরিচ্ছন্নতা অভিযান অব্যাহত আছে।

সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী আরও জানান, সব হাসপাতাল ও ক্লিনিককে ডেঙ্গুর তথ্য প্রতিদিন সিভিল সার্জন কার্যালয়কে জানাতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সব তথ্য পাওয়া গেলে ডেঙ্গু উপদ্রুত এলাকা চিহ্নিত সহজ হবে। তখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।