নিয়মের মধ্যে থেকেই শিল্পকারখানা পরিচালনা করতে হবে—জেলা প্রশাসক

নিয়মের মধ্যে থেকেই শিল্পকারখানা পরিচালনা করতে হবে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কেউ কারখানা পরিচালনা করতে পারবেনা। এমনটি মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম জেলার ভারী ও মাঝারি শিল্পপ্রবণ এলাকায় দুর্ঘটনা রোধে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ণ উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, কারখানাগুলোকে ফায়ার সেফটির বিষয়ে নজর দিতে হবে। ফায়ার সেইফটি ছাড়া কারখানা পরিচালনা আইনত অবৈধ। গত দুই মাসে বিভিন্ন কারখানায় ৯টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো, যেসব প্রতিষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের টিম অভিযান পরিচালনা করেছে সেসব প্রতিষ্ঠানে কোনও ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না।

জেলা প্রশাসক বলেন, সীতাকুণ্ড উপজেলা মাঝারি ও ভারী শিল্পকারখানাপ্রবণ এলাকা। বিভিন্ন কারণে প্রতিবছরই এখানে দুর্ঘটনা ঘটছে। যার বেশিরভাগেরই মানবসৃষ্ট। সেখানে অগ্নিকাণ্ড ঘটছে, বিস্ফোরণ ঘটছে। আট মাস আগে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দুই দিন আগে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ হয়। ফায়ার সেইফটি না থাকাই এসব দুর্ঘটনার প্রধান কারণ।

তিনি আরও বলেন, এসব দুর্ঘটনা রোধে আমরা একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করতে চাই। এর মধ্যে কিভাবে আমরা দুর্ঘটনা হ্রাস করবো, এটি মানবসৃষ্ট হোক আর প্রকৃতিগত হোক, পরিবেশের দূষণ কিভাবে রোধ করবো, দূষণ থেকে খাল-নদী রক্ষা, ভূ-গর্ভস্থ পানি কিভাবে নিম্নে যাওয়ার ব্যবস্থা করা যাবে, কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি ও পাহাড় কাটা কিভাবে রোধ করা যাবে, শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও মালিকদের মূলধনের নিরাপত্তা আমরা কিভাবে নিশ্চিত করতে পারি, এর পাশাপাশি সীতাকুণ্ড এলাকায় কিভাবে আমরা একটি মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে পারবো- সে বিষয়ে সবার মতামত আশা করছি। কর্ণফুলী, আনোয়ারা, মিরসরাই, হাটহাজারী এলাকায়ও শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। সে এলাকা নিয়েও আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।