চট্টগ্রামে অভিবাসন কর্মীদের নিরাপদ অভিবাসন ও ন্যায় বিচারে অভিগম্যতা বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) নগরীর পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সুইজারল্যান্ড সরকারের অর্থায়নে হেলভেটাস বাংলাদেশের সহায়তায় “বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি (বিএনডব্লিউএলএ)” এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। এই প্রশিক্ষণে জেলার বিভিন্ন থানাধীন ২৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণটি উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কবীর আহমেদ।
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবি সমিতির সদস্য এ্যাডভোকেট ফেরদৌস নিগারের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের শুরু হয়। তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের স্বাগত জানান এবং মানবাধিকার নিয়ে বিএনডব্লিউএলএ এর দীর্ঘদিনের কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ। তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যরা কমিউনিটিতে বিভিন্ন ইস্যুতে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। এরই সাথে অভিবাসন সংক্রান্ত তথ্য সহজেই মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব। তিনি এ ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি পুলিশ সদস্যদের জন্য বিএনডব্লিউএলএ এর সময়োপযোগী এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
এর আগে সিম্স প্রকল্পের প্রতিনিধি হানিফ মাহমুদ প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য এবং সিম্স প্রকল্পের কার্যক্রম বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে নিরাপদ অভিবাসন এর তথ্য তুলে ধরা, অভিবাসন আইনের ব্যাপক প্রয়োগের উপর গুরুত্ত্ব প্রয়োগ করা, আইনজীবিদের মাধ্যমে জনগণের কাছে এই তথ্যসমূহ পৌঁছে দেয়া এবং আইনগত সহায়তা প্রত্যাশী অভিবাসনকর্মীদের প্রত্যাশিত সেবা প্রদান করার বিষয়ে ভূমিকা প্রদান করাই এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে। প্রশিক্ষণ এ ফ্যসিলিটটের এর দায়িত্ব পালন করেন এ্যাডভোকেট তানভিয়া সুলতানা ও সিম্স প্রকল্পের এ্যাডভোকেট ফেরদৌস নিগার।
প্রশিক্ষণে আরো উপস্থিত ছিলেন সিমস্ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার বশির আহমেদ মনি । অংশগ্রহণকারীগণ সময়োপযোগী এই আয়োজনের জন্য বিএনডব্লিউএলএ কে ধন্যবাদ জানান এবং তাদের সহযোগীতার বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।