পেকুয়ায় ৪ জনের মৃত্যু, পানিবন্দি দেড় লাখ মানুষ

টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় কক্সবাজারের পেকুয়ায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়। উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে অনুমানিক দেড় লক্ষ মানুষ এখনও পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। শুক্রবার (১০ আগস্ট) পর্যন্ত বন্যায় ডুবে ৩ শিশু ও ঢলের পানিতে ভেসে আসা বিষাক্ত সাপের কামড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত শিশুরা উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ফেরাসিংগা পাড়া এলাকার নুরুল আলমের শিশু কন্যা জাহেদা বেগম (১০), ছেলে আমির হোছাইন (৫), একই এলাকার ছাবের আহমদের শিশু কন্যা হুমাইরা বেগম (৮)। এছাড়া সদর ইউনিয়নের আন্নর আলী মাতাব্বর পাড়া এলাকার মৃত আলী আহমদের ছেলে ও পেকুয়া বাজারের ক্রোকারিজ ব্যবসায়ী নাছির উদ্দীন (৪৫) সাপের কামড়ে মারা গেছেন।

এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৫ হাজার মানুষকে শুকনো খাবার ও খিচুড়ি পৌঁছে দেওয়া হলেও আনাহারে আছেন হাজার হাজার লোক। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি এবং চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে ত্রাণ সহযোগিতা করতে পারছে না বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।

জানা গেছে, ১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ের পর পেকুয়া ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বন্যার কবলে পড়েছে এবার। বিদ্যুৎ, নিরাপদ পানি ও খবারের অভাব মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। এছাড়া হাট-বাজারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পড়ে আছে পানির নিচে।

এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্বিতা চাকমা বলেন, বন্যার কারণে দেড় লক্ষ মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে, ১৫ হাজার মানুষকে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা লোকদের রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। যারা সমাজে বিত্তবান আছেন তাদেরকে অসহায় মানুষের পাশে থাকার আহ্বানও জানান তিনি।

এই বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় যুগ্মসচিব ( ত্রাণ কর্মসূচি, ত্রাণ প্রশাসন) অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঠানো চাহিদার অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।