প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ডাকাত দল র‌্যাবের জালে

চট্টগ্রামের রাউজানের সুলতানপাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে প্রবাসী সরোয়ার চৌধুরী। বিদেশ থেকে দেশে আসেন মামাতো বোনের বিয়ে উপলক্ষে। বিয়ের খরচের টাকা, স্বর্ণালঙ্কার নিজের ঘরে রেখে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তারা যান মামার বাড়িতে বেড়াতে।

এই সুযোগে গত ২৯ অক্টোবর রাতে ঘরে প্রবেশ করে বৃদ্ধ মোহাম্মদ আলীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমারীতে রক্ষিত অবস্থায় থাকা ভিকটিমের স্ত্রী, মা, বোনের স্বর্ণালঙ্কার এবং নিকট আত্মীয়দের আমানত হিসেবে রাখা স্বর্ণালঙ্কারসহ সর্বমমোট ৭০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে। এছাড়া বিবাহের জন্য ঘরে রাখা নগদ ৫ লক্ষ টাকা, ৫টি দামী মোবাইল সেট এবং একটি স্যামসাং ব্রান্ডের ট্যাব লুট করে।

এই ঘটনায় ৯ নভেম্বর রাউজান থানায় মামলা দায়ের করেন প্রবাসী সরোয়ার চৌধুরী। পাশাপাশি তিনি র‌্যাবের সহযোগিতাও চান বলে জানান র‌্যাব-০৭এর অধিনায়ক লে. কর্ণের এমএ ইউসুফ।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের র‌্যাব অধিনায়ক লে. কর্ণের এমএ ইউসুফ জানান, রাউজান হাটহাজারীর বিভিন্ন স্থানে একটানা ৭২ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনার মূল হোতা মুসাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর ডাকাতি করা স্বর্ণ যার কাছে বিক্রি করা হয়েছিল সেই স্বর্ণকার বিপ্লব চন্দ্র সাহা গ্রেপ্তার করে তাদের দেওয়া তথ্যে অপর ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা প্রথমে অপরাধীদের শনাক্ত করি। এরপর ডাকাতির ঘটনায় লিড দেওয়া মুসাকে গ্রেপ্তার করি। তারপর বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করি। তাদের দেওয়া তথ্যে অপর ছয়জনকে আমরা গ্রেপ্তার করি।

এ ঘটনায় ৪৬ ভরি স্বর্ণালংকার, কয়েন ও সোনা বিক্রির ৩০ লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করে র‌্যাব। এছাড়া মুসার কাছ থেকে নগদ ছয় লাখ ৯৯ হাজার টাকা উদ্ধা হয় বলেও জানান তিনি।

গ্রেপ্তার হওয়া অপর ছয় ডাকাত হলো খোরশেদুল আলম (২৮), সাজ্জাদ হোসেন (২৭), মোঃ বাপ্পি (২৬), সজল শীল (২৭), মোঃ ইদ্রিস প্রকাশ কাজল (৩৪)। তাদেরকে রাউজান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।