বন্যার্তদের পাশে ওয়াসিফ সালাম-তৌহিদ আফ্রিদি

তারুণ্যের শক্তি অপরিসীম। বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় তরুণরাই পারে জোরালো ভূমিকা রাখতে। এমন অনেক তরুণ আছেন যারা যেকোনো দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। সম্প্রতি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-চন্দনাইশ-দোহাজারীতে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়ে আলোচনায় এসেছেন দুই তরুণ। তারা হলেন- ওয়াসিফ আহমেদ সালাম ও তৌহিদ আফ্রিদি। এই দুই তরুণ বন্যাকবলিত ৪ হাজার মানুষকে চাল, ডাল, বিস্কুট, মোমবাতি, স্যালাইন, পানিসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দিয়েছেন।

ওয়াসিফ সালাম এশিয়ান গ্রুপের পরিচালক। তিনি চট্টগ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। করোনাকালে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বেশ প্রশংসাও কুড়িয়েছেন। যেকোন দুর্যোগ-দুর্বিপাকে সর্বদা মানুষের পাশে থাকেন তরুণ উদ্যোক্তা ওয়াসিফ আহমেদ সালাম।

দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদি। চট্টগ্রামে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় পানিবন্দি মানুষের করুণ অবস্থা দেখে মানবিক কাজে এগিয়ে এসেছেন আফ্রিদি। তিনি সাতকানিয়ার বেশকিছু গ্রামে গিয়ে মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। ইতোমধ্যে এমনই ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যদেরও এগিয়ে আসতে নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন তৌহিদ। এই কাজে তাকে অনেকে সাহায্য করছেন।

ওয়াসিফ আহমেদ সালাম বলেন, বন্যার্তরা খুবই কষ্টে আছেন। তাদের শুকনা খাবার দরকার। এজন্য আমরা বন্যার্তদের জন্য শুকনা খাবারসহ বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছি। এই খাবারগুলো তাদের কয়েকদিন যাবে। আমরা চেষ্টা করছি তাদের জন্য আরও কিছু খাবার পৌঁছাতে। যেকোন দুর্যোগে সবসময় এশিয়ান গ্রুপ মানবতার হাত বাড়িয়ে দেয়।

তৌহিদ আফ্রিদি বলেন, আমি, বন্ধু ওয়াসিফ এবং আমাদের টিম মিলে আমরা চট্টগ্রাম থেকে শুকনা খাবার, বিস্কিট, মোমবাতিসহ সবকিছু ম্যানেজ করেছি। ৪ হাজার পরিবারের খাবারের ব্যবস্থা করতে পেরেছি এজন্য আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা। দুর্যোগে আমি আর ওয়াসিফ অনেক কাজ করেছি। সিলেটে বন্যা, সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডিতেও একসঙ্গে কাজ করেছি। বান্দরবার-কক্সবাজারে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আমরা তাদের জন্যও কাজ করবো। দেশ এবং দেশের মানুষের কোন বিপদ হলেই আমরা চলে আসবো।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।