চট্টগ্রাম নগরীর ৮ ওয়ার্ডের প্রায় ১০ লাখ মানুষকে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে বাড়ইপাড়া খাল খনন কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে মেয়র নতুন খালের বহদ্দারহাটসহ বিভিন্ন অংশের খননকাজ সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের কাছ থেকে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান তিনি। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে যাতে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে দিকনির্দেশনাসহ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পাদনের তাগাদা দেন।
মেয়র বলেন, বাড়ইপাড়া খালের সঙ্গে শুলকবহর, মোহরা, বহদ্দারহাট, বাকলিয়া, চাক্তাইসহ ৮ ওয়ার্ডের প্রায় ১০ লাখ মানুষের জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তির বিষয়টি জড়িত। এজন্য দ্রুততম সময়ে এ খাল খননের কাজ শেষ করতে হবে।
জানা গেছে, ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি হবে ৬৫ ফুট চওড়া। খালের দুই পাশে ২০ ফুট করে সাড়ে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি রাস্তা হবে এবং ৬ ফুট প্রস্থের দুটি করে ওয়াকওয়ে হবে। খালটি বাড়ইপাড়া থেকে শুরু হয়ে নূরনগর হাউজিং হয়ে, ওয়াইজপাড়া থেকে বলীরহাটের পাশ দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে মিশবে।
এ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ১৯৯৫ সালে করা ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যানে নগরের বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালটি খননের সুপারিশ করা হয়।
এর প্রায় দুই দশক পর ২০১৪ সালের জুনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বাড়ইপাড়া খাল খনন প্রকল্প অনুমোদন পায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষ হলে ওই এলাকার ২ হাজার ২৬৪ হেক্টর এলাকার পানি নিষ্কাশিত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে প্রবাহিত হবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।